X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে যোগ দেওয়ায় বিএনপির লাভ-ক্ষতির হিসাব কী

সালমান তারেক শাকিল ও আদিত্য রিমন
৩০ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৫৯আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৩৮

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার পর বিএনপির সংসদে যোগ দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। হঠাৎ করেই কোন জাদুকাঠির ছোঁয়ায় বিএনপি শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো তা নিয়ে চলে নানা আলোচনা। পাশাপাশি হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে তারেকের এ সিদ্ধান্তে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার লাভক্ষতি নিয়ে। সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে জানান, দলের নির্বাচিতদের সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি একা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির কোনও সদস্যই সেখানে ছিলেন না। সংবাদ সম্মেলনের পর স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের দু’নেতার ফোন বন্ধ ছিল। বাকিরা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি।

সময় গড়ানোর সঙ্গে-সঙ্গে বিএনপির সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা বাড়তে থাকে। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এই প্রতিবেদকদের বলেন, ‘আমরা তারেক রহমানের কাছেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলাম। গঠনতান্ত্রিকভাবেও তাকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি কী কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা জানা নেই।’

যদিও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল সহাস্যে বলেন, ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সংসদে কথা বলার সীমিত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংসদ ও রাজপথের সংগ্রামকে যুগপৎভাবে চালিয়ে যাওয়াকে আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করছি। জাতীয় রাজনীতির এই সংকটময় জটিল পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা, মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের অংশ হিসেবে আমাদের দল সংসদে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের কিছু আগেই সংসদে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ থেকে নির্বাচিত হারুনুর রশীদ জানালেন তার নেত্রীর মুক্তির দাবি। তিনি বলেন, ‘এটাও যদি মনে করে বিএনপির পাঁচজন সংসদ সদস্য সংসদে প্রবেশ করেছেন নেত্রীর মুক্তির জন্য। তাহলে দেশের মানুষের কাছে আমরা বলতে পারবো, তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঢোকার ফলশ্রুতিতে তাকে মুক্ত করেছেন।’

কিন্তু এই ব্যাখ্যা যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এক নেতার কাছে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের কারণে খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি ও ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আন্দোলনের বিষয়টি মাটিচাপা পড়ে গেলো। এই সিদ্ধান্তের পেছনে একান্তভাবে তারেক রহমান জড়িত।’

স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, সোমবার বিকালে একটি আলোচনা সভায় ব্যস্ত ছিলাম। এরমধ্যে তাকে ফোনে জানানো হয় তারেকের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি তো আউলা-ঝাউলা হয়ে গেলাম।’

স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘রবিবার রাতের বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সংসদে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে দায়িত্ব দেন। গঠনতান্ত্রিকভাবে তার এই ক্ষমতা আছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য মনে করেন, ‘সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেবল তারেক রহমান। তিনি এই সিদ্ধান্ত দেবেন, এমন সম্ভাবনা দু’দিন আগেও ছিল না।’ শনিবারও (২৭ এপ্রিল) আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে সংসদ সদস্য পদ বাতিলে আইনানুগ পথগুলো খুঁজে বের করার। সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২’র ১২/১/খ ধারা অনুযায়ী, কাজও শুরু হয়েছিল, নির্বাচন কমিশন ও স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, ‘দেড়দিনের ডেভেলপমেন্ট এটা। সংসদে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি চমক দিলেও স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের কাছে আগেই খবর ছিল, ‘গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিই সংসদে যোগ দিতে প্রাধান্য পেয়েছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোনও কর্মসূচি না দেওয়ার পরামর্শ ছিল তারেক রহমানের। মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে একাধিকবার তিনি বলেছেন, কোনও কর্মসূচির প্রয়োজন নেই। আর এ কারণেই নির্বাচনের পর নতুন নির্বাচনের দাবিতে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঘরোয়া কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোনও শক্ত প্রতিবাদ করেনি বিএনপি।’

দলের তরুণ প্রভাবশালী একজন আইনজীবী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানালেন, ‘ঈদের আগেই জামিনে ছাড়া পাবেন খালেদা জিয়া।’ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের মামলায় হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি হবে, এমনটি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও এই মামলার বিশেষ দায়িত্বে থাকা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রভাবশালী এক নেতার সন্দেহ, ‘নির্বাচনের আগে গণভবনে আয়োজিত সংলাপেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির মহাসচিবের কাছে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের তালিকা চেয়েছিলেন এবং মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিএনপি নেতারা নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যেই এ অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রাখেননি। সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নিয়েও সন্দেহ থেকে যায়।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার দিনভর বিএনপির চার এমপি শপথ নিলেও মির্জা ফখরুল নেননি। বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, শপথের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করায় বিব্রতবোধ করছেন তিনি। সবকিছু সময়ের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন বিএনপির মহাসচিব। যদিও মহাসচিবের একান্ত একজন বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল শপথগ্রহণ করেননি। তারেক রহমানের কাছে তিনি শপথ না নেওয়ার বিষয়ে অনুরোধ করেছেন।’

লাভ-ক্ষতির প্রশ্নে বিএনপিতে মিশ্র মনোভাব

লাভক্ষতির প্রশ্নে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের আলোচনা। কেউ মনে করছেন, তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই ইতিবাচক হয়েছে। বিএনপিতে জিয়া পরিবারের যে নিরঙ্কুশ প্রভাব, তা আবারও দৃশ্যমান করলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দলের পরিচালনায় থাকা যৌথ নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন। জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রায় প্রত্যেকেই সোমবার বিকাল পর্যন্ত বলেছেন, শপথ নেওয়ার চাপ সরকারের পক্ষ থেকে এবং গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত থাকবে শপথ নিলে। যদিও সন্ধ্যায় মির্জা ফখরুল আগের মন্তব্য উল্টে বললেন, ‘কোনও চাপ থেকে শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি।’ এদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় প্রায় এক যুগের ওপরে নির্বাসিত আছেন। প্রতি মুহূর্তে তিনি দেশের কথা, দলের কথা চিন্তা করছেন। তিনি ভাবছেন কীভাবে দেশে ফিরে আসা যায়।’

সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির অন্তত সাতজন সদস্যের সঙ্গে এই প্রতিবেদকদের কথা হয়। দলের সিদ্ধান্তে তারা প্রত্যেকেই বিপর্যস্ত ও বিস্মিত। জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের দুই সদস্যের আক্ষেপ, ‘এটাই তো বিএনপি। ওপর থেকেই আসবে। মেনে নিতে হবে।’ জাহিদুর রহমান জাহিদ (ঠাকুরগাঁও-৩) এমপি শপথ নিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছিলেন, ‘গণদুশমন’। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর শপথ নেওয়ার পর মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ‘বেঈমান’। স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, ‘সিদ্ধান্তের বাইরে দুই-একজন শপথ নিলে তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। বিএনপি একটি বটগাছের মতো, দুই-একটা পাতা ঝরলে তাতে কিছু যায় আসে না।’ আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও একই কথা বলেছিলেন। সোমবার রাতে প্রতিক্রিয়া জানতে কয়েকবার চেষ্টা করা হলে মওদুদ আহমদের ফোন রিসিভ হয়নি। তিনি রবিবার রাতের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা মনে করেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পর সংসদে যোগ দেওয়ায় মানুষের কাছে নেতিবাচক বার্তা গিয়েছে। মির্জা ফখরুল অবশ্য তা মনে করেন না, তার ভাষ্য, ‘এমনটি ঘটার সম্ভাবনা কম।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেন, ‘আমি শুনেছি। এখন কিছু বলতে পারবো না।’ কথা বলতে নারাজ ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনীতিকে সামনে রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের ভাষ্য, ‘দলের কোনও কৌশল থেকেই সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে কৌশল আমি জানি না। আর বিএনপি যখন সংসদে যায়নি, তখন বলা হয়েছে কেন যায়নি; এখন গেছে, এখনও প্রশ্ন কেন গেলো।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট মনে করেন, ‘বদ্ধ রুমে চিল্লাচিল্লি করার চেয়ে সংসদে চিৎকার করা উত্তম। রাজপথে যেহেতু নাই, সংসদে গেলেও তো হয়!’ মহানগর উত্তরের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মত, ‘সংসদে যোগ দেওয়ায় ম্যাডাম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে।’

বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, ‘একদম বাস্তবতার ভিত্তিতেই সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বিএনপিকে। রাষ্ট্রের তিনটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থাকে। বিচার বিভাগ, সশস্ত্র বিভাগ, বুর্জোয়া বিভাগ। এই তিনটি জায়গা ধরেই রাজনৈতিক কৌশল নির্ণীত হয়। সে কারণে পরিস্থিতি অনিবার্য ছিল। এতে করে শপথের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। মির্জা ফখরুলের শপথের বিষয়ে সাসপেন্স থাকবে।’

ঐক্যফ্রন্টে পড়বে বিরূপ প্রভাব

বিএনপির সংসদে যোগ দেওয়ায় নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয জোটে। ফ্রন্ট ও জোটের নেতারা বলছেন, বিএনপির উল্টো সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো, বিএনপির কাছে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের কোনও প্রকার গুরুত্ব নেই। এই গুরুত্ব না থাকার বিষয়টি জোটে ও ফ্রন্টের ঐক্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে, এমন আশঙ্কা নেতাদের।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এরই মধ্যে মির্জা ফখরুলের পূর্বনির্ধারিত মঙ্গলবারের ‘নুসরাতসহ সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে গণজমায়েত ও মানববন্ধন’ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ফ্রন্টের নেতাদের একটি সভা আছে। এই সভায় বিএনপির মহাসচিব, আ স ম রব, মাহমুদুর রহমান মান্না যেতে পারেন। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘যা বলার আমি মঙ্গলবার সকালে বলবো। তবে অনুষ্ঠানে যাবো কিনা ভাবছি।’

ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আবদুল মালেক রতন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মির্জা ফখরুলই বলেছেন, যারা শপথ নেবেন তারা বেঈমানি করবেন। এখন এই শপথ বেঈমানির পরিবর্তে অন্যকিছু সহায়ক হয় কীভাবে? এটা কোনোক্রমেই বোধগম্য হচ্ছে না।’

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলছেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ছিল শপথ না নেওয়ার। আমাদের প্রস্তুতি হচ্ছে শপথ ঠেকাতে ও সংসদ সদস্য পদ বাতিল করতে সংবিধান ও আরপিও পর্যালোচনার। এখন তাদের শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত শুনেছি। পর্যবেক্ষণ করে পরে আমাদের অবস্থান জানাবো।’

ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বিএনপি'র নেতাকর্মীরা এবার সদলবলে আওয়ামী লীগে যোগ দিক...'আন্দোলনের অংশ হিসেবে।’

জাতীয় ঐকফ্রন্টের শরিক একটি দলের প্রধান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ধারণাই করছিলাম বিএনপি আন্দোলন করছে না, সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই মাত্রার নেগোশিয়েশন হবে, ভাবতে পারিনি। খালেদা জিয়ার ইমেজ নষ্ট করা হলো এবং আন্দোলনের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা বিনষ্ট করা হলো। উনি প্যারোল গ্রহণ করেননি, শুনে ভালো লেগেছিল।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেও তো নিশ্চয়ই প্রশ্ন উঠবে। ফ্রন্টের ঐক্যে প্রভাব পড়তে পারে? এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ খুব একটা হবে বলে মনে হয় না। কেননা, তাদের দু’জন আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই না!’

ফ্রন্টের এক নেতা বলেন, ‘২০ দলীয় জোটেও প্রশ্ন উঠবে। তাদেরও বিএনপির কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।’

আরও পড়ুন:

তারেক রহমানের সঙ্গে একমত নই বলার সুযোগ নেই: গয়েশ্বর

তারেক রহমানের সিদ্ধান্তেই সংসদে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

শপথ না নেওয়ার ওয়াদা করলেন বিএনপির নির্বাচিত ২ জন

আপনারা যা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেন না: মির্জা ফখরুল


নির্বাচিতদের ওপর শপথ নেওয়ার চাপ রয়েছে: মির্জা ফখরুল

 দলের সিদ্ধান্ত ছাড়া কেউ শপথ নিলে সে গণদুশমন: গয়েশ্বর

 

 

 

/আইএ/এসটি/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিক্রির জন্য সবজি কিনে ফেরার পথে দুই ব্যবসায়ী নিহত
বিক্রির জন্য সবজি কিনে ফেরার পথে দুই ব্যবসায়ী নিহত
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
রাজধানীতে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
প্রচণ্ড গরমে দই-ফলের এই ডেজার্ট বানিয়ে খান
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি