দুইমাস আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। আবারও জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। তবে এটা বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব নয়, নেপালের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের জন্য এই প্রস্তুতি। নেপালের কাছে সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে, ঘরের মাঠে ২০১৮ সাফ ফুটবলের সেই ম্যাচে হার ছিল ২-০ গোলে। প্রীতি ম্যাচ হলেও এবার তাই জয়ের দিকেই চোখ জেমি ডের ছাত্রদের।
গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা বললেন, আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বরের ম্যাচ দুটি খেলবেন জয়ের লক্ষ্যে, ‘ নেপালের বিপক্ষে আমাদের দুটি ম্যাচ খেলতে হবে। অবশ্যই আমরা জিততে চাইবো। সেজন্য যত চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন আমরা সবাই মিলে সেটা নিতে চাই, কাজ করতে চাই।’ লম্বা বিরতির পর নতুন করে ক্যাম্প শুরু হওয়াটা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন রানা, ‘চেষ্টা করবো যেন খুব দ্রুত আমরা রিকভারিটা করতে পারি। অনেকদিন পর ক্যাম্পে ফিরে ভালো লাগছে। লম্বা বিরতির পর ফিরেছি। আগস্টে সারা রিসোর্টে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। কিন্তু সেটা পাঁচদিনের বেশি হয়নি। তখন কয়েকজ খেলোয়াড় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল। তারপরও রিকভারির সুযোগ ছিল। কিন্তু করোনার কারণে খেলা পিছিয়ে দেওয়ায় সেবার ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যায়। এখন আবার সুযোগ এসেছে দলীয় অনুশীলনের।’
৩৬ জনের মধ্যে নতুন মুখ চারজন। এরা হলেন ফিনল্যান্ডপ্রবাসী কাজী তারিক রায়হান,পুলিশ এফসির এমএস বাবলু, নাজমুল ইসলাম রাসেল এবং উত্তর বারিধারার সুমন রেজা। পুলিশ এফসির মিডফিল্ডার নাজমুল ইসলাম রাসেল ক্যাম্পে যোগ দিয়ে তার অনুভূতি ব্যক্ত করলেন এভাবে,‘ চেষ্টা করেছি নিজেকে ফিট রাখতে। মানসিকভাবে ফিট আছি। শারীরিকভাবে ফিট হতে হবে। কিছু করার নেই। আমাদের প্রস্তুত হতে হবে সেভাবেই।’ প্রথমবার দলে ডাক পেয়ে চূড়ান্ত স্কোয়াডে ঢোকার স্বপ্নই দেখছেন নাজমুল,‘ সব খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলা। প্রথমবার সুযোগ পেয়ে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করবো। অনেকদিন ধরেই ফুটবল খেলি। সুযোগ পেলে দেশের জন্য খেলবো। এটার ব্যাখ্যা দেওয়ার ভাষা নেই।’