পোস্ট অফিস
আমি যেদেশে থাকি
সেখানে কোনো পোস্ট অফিস নেই
কেউ আর চিঠি লেখে না;
পোস্টমাস্টার কেমন হয় তাও জানা নেই
এখানে মানুষগুলো কান আর মুখে আঙুল তুলে
হাঁটতে থাকে
সমুদ্রই তাদের শেষ যাত্রা হবে জেনে
আমি সৈকতে গিয়ে দাঁড়াই
মানুষগুলো লবণে ভেসে বেড়ায়
তবু শরীরসমুদ্রে কেন এতো লবণ!
কেন এতো কথা কণ্ঠখনিতে!!
কেন এতো ব্যথা বুকের গভীরে!!!
এতো কিছু ভেবে দেখার সময় নেই
শুধু কান আর মুখে
আঙুল তুলে কথা বলাতেই এদেশে আনন্দ!
পোস্টমাস্টার
পোস্টমাস্টার বাড়ি চলে গেছেন
সাইবেরিয়া থেকে আসা চিঠিতে
স্বেত ভাল্লুকের লোম আর খোঁজা হবে না তার
মাংকি টুপি পরে চায়ের কেতলি জ্বেলে
তাতে সমুদ্রের গর্জন শুনতে শুনতে
তিনি আর ভাববে না বোখারা শহরের কথা
আমাদের শহরে আর কোনো পোস্ট অফিস নেই!
রানার
রানার দেখা যাবে না শহরের কোথাও আর
গ্রামের পথে গভীর রাতে
বাতাসের চাদর জড়িয়ে রানার ছুটবে না ভূতের মতো
বিরাণ পাথারে অশ্বক্ষুরের ধূলো উড়িয়ে
রানার আর কোনোদিন কাগজ নিয়ে ছুটবে না
আত্মীয় মেঘের দেশে
এখানে আর কোনো পোস্ট অফিস নেই!
কর্নেল
বাজারে লড়াইয়ের মোরগ নিয়ে বসে থাকতে থাকতে
কর্নেল উঠে দাঁড়ায়
তার মাথার উপর বার্মার মেঘ উড়ে যাচ্ছে...
মেঘের মধ্যে পোস্টমাস্টারের মুখ দেখে
আস্তিনের বুতামে মেসেডোনিয়ার স্মৃতি ধরে
কর্নেল হাত বাড়ায়
আলেকজান্ডারের সেই চিঠির জন্যে
পোস্টমাস্টার জানে আর কোনোদিন চিঠি আসবে না
তাই কার্নেলর চোখে জমে থাকা ধুলোগুলো
মুছে দেয় নীলপালকে!