X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

টাকা চায় অর্থ বিভাগ, দিতে চায় না পেট্রোবাংলা-বিপিসি

সঞ্চিতা সীতু
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:০০আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:৪৩

পেট্রোবাংলার কাছে চার হাজার কোটি টাকা চেয়েছে অর্থ বিভাগ। কিন্তু ওই টানা না দেওয়ার জন্য জ্বালানি বিভাগে দেন দরবার করছে প্রতিষ্ঠানটি। জ্বালানি বিভাগ সূত্রে এ খবর জানা গেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনও তাদের তহবিলের টাকা অর্থ বিভাগে না দেওয়ার জন্য জ্বালানি বিভাগে চিঠি দিয়েছে।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, অর্থ বিভাগ সম্প্রতি পেট্রোবাংলার কাছে তাদের কোষাগারে থাকা উদ্বৃত্ত চার হাজার কোটি টাকা ফেরত চেয়েছে। ২৪ জানুয়ারি ফেরত দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল অর্থ বিভাগ। সময় অতিক্রান্ত হলেও অর্থ ফেরত দেয়নি পেট্রোবাংলা।

পেট্রোবাংলার পরিচালক অর্থ মো. হারুন অর রশীদ সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের এক সভায় জানান, অর্থ বিভাগ যে চার হাজার কোটি টাকা ফেরত চাইছে তার জন্য গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ)-এর নতুন নীতিমালা অনুযায়ী বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এবং অর্থ বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ও প্রয়োজন। এ জন্য বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি যে নির্দেশনা দেবে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি জ্বালানি বিভাগের সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। তখন জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিসুর রহমান বলেন, এখন পেট্রোবাংলার পক্ষে এই টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ পেট্রোবাংলার আয় সামান্য।

জানা গেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কোষাগারে থাকা বিপুল পরিমাণ উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে হস্তান্তরের নতুন আইন করা হয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী বিপিসির তহবিলে থাকা অর্থও চাইছে অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু বিপিসি সেই অর্থ দিতে চাইছে না।

বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দীক জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল গ্যাসের দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বিপিসির লোকসানের আশঙ্কা বেশি। ভবিষ্যতে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে রিজার্ভ থাকাটা জরুরি।

পেট্রোবাংলা ও বিপিসি সূত্র আরও জানায়, তাদের অনেকগুলো প্রকল্প চলছে।  বিদেশ থেকে গ্যাস ও তেল আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরণ করতে হয়। এর আগে আর্থিক সঙ্কটের কারণে বিপিসিকে তেল আমদানির জন্য ঋণ দিতে চাইতো না দেশীয় ব্যাংকগুলো। তখন সরকার কিংবা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে হাত পাততে হতো। কিন্তু গত কয়েক বছরে বিপিসি সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে লাভের মুখ দেখেছে। এখন প্রতিষ্ঠানটিকে তেল আমাদানি করতে কারও কাছে টাকা চাইতে হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানের রিজার্ভ যদি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে দিতে হয় তবে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে বিপিসি। এতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোও ঝুলে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিপিসি সংশ্লিষ্টরা।

/এসএনএস/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে পুলিশের অবস্থান রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে পুলিশের অবস্থান রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
তামাক কর বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ তরুণের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব
তামাক কর বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ তরুণের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না