X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোম্পানীগঞ্জে পৌঁছেছে সাংবাদিক মুজাক্কিরের লাশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:২৩আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:৫৯

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের (২৮) লাশ বাড়িতে পৌঁছেছে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশির হাটে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লাশ বাড়িতে পৌঁছায়। লাশ দেখে বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন মুজাক্কিরের মা-বাবা, ভাই-বোনরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন, সহকর্মী ও স্থানীয়রা।

নিহত মুজাক্কির অনলাইন পোর্টাল বার্তা বাজার এবং দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে। সাত ভাই-বোনের মধ্যে মুজাক্কির সবার ছোট। এ বছর তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।  

নিহতের বাবা মাস্টার নোয়াব আলী জানান, রাত ৮টায় স্থানীয় আজগর আলী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। ছেলের দাফনের কথা বলে অঝোরে বিলাপ করে কাঁদতে থাকেন মুজাক্কিরের বাবা।

কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমার বয়স ৭৫ চলছে। মুজাক্কিরের মা-ও বয়োবৃদ্ধ। কিছু দিন আগে আমাদের বয়সের কথা চিন্তা করে একেবারে নতুনভাবে একটি পারিবারিক কবরস্থান তৈরি করি। কিন্তু আজ আমরা সবাই রয়ে গেলাম। পরিবারের সবার ছোট মুজাক্কির সবার আগে ওই কবরস্থানে দাফন হচ্ছে।’

বড় ভাই ফখরুদ্দিন মুফাচ্ছির জানান, তার মা শোকে পাথর হয়ে গেছেন। ছোট ছেলের মৃত্যুর সংবাদে নিজেকে সামলাতে পারছেন না মা।

এদিকে, মুজাক্কিরের নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে আজ ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছেন জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। মানববন্ধন চলাকালে বিভিন্ন পেশার মানুষ সংহতি প্রকাশ করেন। একই কর্মসূচি পালন করেছেন কোম্পানীগঞ্জ ও চাটখিল উপজেলার সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশির হাটের তরকারি বাজারে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং কোম্পানীগঞ্জের উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে তাকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

/এমএএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা