পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) বর্তমানে বিভিন্ন গ্রেডের প্রায় ছয় হাজার পদ শূন্য রয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় আওতাধীন এ প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত ১২ হাজার ৬৩৮টি পদের বিপরীতে ছয় হাজার ৬৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। পদ শূন্য রয়েছে পাঁচ হাজার ৯৭৯টি। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্য মতে, নিম্নতর গ্রেডে শূন্য পদের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি। সর্বনিম্নস্তর ২০তম গ্রেডে চার হাজার ৭৫৬টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে দুই হাজার ৯৮০টি। ১৯তম গ্রেডে ৪৭৪টি পদের মধ্যে শূন্য পদ ২৪৫টি। ১৮তম গ্রেডে ৪৩৩টি পদের মধ্যে শূন্য ৩১৯টি। ১৭তম গ্রেডে ১১৮টি পদের মধ্যে ১১৫টিই শূন্য।
১৬তম গ্রেডে তিন হাজার ৩৮টি পদের মধ্যে শূন্য পদ এক হাজার ১২০টি। ১৫তম গ্রেডে ৩৫৪টি পদের মধ্যে ৯৩টি শূন্য রয়েছে। ১৪তম গ্রেডে ৬১৪টি পদের মধ্যে ২২১টি শূন্য। ১৩তম গ্রেডে ২২৬টি পদের মধ্যে ৮৫টি, ১২তম গ্রেডে ১৯৯টি গ্রেডে ৯৮টি, ১১তম গ্রেডে ৪১টি পদের মধ্যে ১০টি, ১০ গ্রেডে ৯৫৮টি পদের মধ্যে ২৭০টি, নবম গ্রেডে ৬৩৯টি পদের মধ্যে ১৩৯টি পদ শূন্য রয়েছে।
ষষ্ঠ গ্রেডের ৩৪৮টি পদের মধ্যে ১৫৯টি, পঞ্চম গ্রেডে ৩১৩টি পদের মধ্যে ১১৫টি, চতুর্থ গ্রেডে ৮৮টি পদের মধ্যে পাঁচটি পদ শূণ্য রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সরকার অধিদফতর করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য খসড়া আইন প্রণীত হয়েছে। প্রস্তাবিত অধিদফতরের জনবল কাঠামো এবং খসড়া আইনের আলোকে বিধিমালা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
চলমান প্রকল্পের জন্য হাজার কোটি টাকা চায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়
চলতি অর্থ বছরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের চলমান প্রকল্পের মধ্যে ৫৫টি সম্পন্ন করতে চায়। এর মধ্যে ৪৫টি প্রায় শেষ পর্যায় বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এসব প্রকল্পের জন্য এক হাজার ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার দরকার হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই টাকা চেয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে ডিও লেটার পাঠিয়ে এডিবিতে অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, এ এম নাঈমুর রহমান, সামশুল হক চৌধুরী ও নুরুন্নবী চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন।
ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন বলে বৈঠকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বৈঠকে নদী পুনঃভরাট রোধে খননকৃত মাটি/বালু নদীর তীর থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার দূরত্বে আর নদীভেদে ৫০০/১০০০ মিটার দূরে মাটি/বালু ফেলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বর্তমান শুষ্ক মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে নদীখনন কাজ দ্রুত শেষ করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের বাজেট বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।
