শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি, গবেষণা, উদ্ভাবন ও শিক্ষা বিষয়ক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘আইসিইআরআইই-২০২১’ সম্পন্ন হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রথমবারের মতো অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় সম্মেলনটির ৬ষ্ঠ আসর। আয়োজনে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের ২৩২ নম্বর কক্ষে এ সম্মেলনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে কনফারেন্সের সভাপতি ও স্কুল অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গবেষক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমিউনিটির জন্য এই সম্মেলনটি একটি বড় সুযোগ। দেশ-বিদেশের গবেষক এবং উদ্ভাবকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছেন এ সম্মেলনে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত গবেষণা, উদ্ভাবন ও তার কার্যকারিতা নিয়ে বৈশ্বিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে গবেষকরা তাদের গবেষণা এবং গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞান একে অপরের সাথে শেয়ার করতে পেরেছেন।’ এখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলো পরবর্তীতে গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি প্রযুক্তি, গবেষণায় ও উদ্ভাবনে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. মেজাম্মেল হক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্স সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুহিসিন আজিজ খান, যুগ্ম সচিব স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবী ও কনফারেন্সের আয়োজন কমিটির অন্যান্য সদস্য।
ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ আমেরিকা, ইতালি বেলজিয়াম, বেলারুশ, কানাডা, মিসর, ফিলিপাইন, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, ইংল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকরা তাদের পেপার সাবমিট করেন। তন্মেধ্যে ১৫৬টি প্রবন্ধ ও ১০টি পোস্টার পেপার উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া শাবির ফ্যাকাল্টি মেম্বারসহ কনফারেন্সের ৩৯টি সেশনে প্রায় ১২০০ অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
উল্লেখ্য, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড আর্কিটেকচার, কম্পিউটার সায়েন্স ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স, মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, ‘কেমিক্যাল, ফুড, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ক্যাটাগরি থেকে ১৫৬টি পেপারের মধ্যে থেকে বাছাই করে ৫টি ‘বেস্ট পেপার’ এবং ১০টি পোস্টার প্রেজেন্টশন থেকে একটি ‘বেস্ট পোস্টার’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
