দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় এ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানের সাজা কেন বৃদ্ধি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হান্নানের আপিল আবেদনসহ আগামী ১১ এপ্রিল শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
মামলার এজাহার অনুসারে, এমএ মান্নান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্বপালনকালে (২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) ভুয়াভাবে ৯৯৯টা ভাউচারের অনুদান ও ব্যয় দেখিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ত্রাণ এবং দরিদ্র তহবিল থেকে ৪৯ লাখ এক হাজার ৮৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পরে ওই ঘটনায় দুদকের উপসহকারী পরিচালক সামছুল আলম ২০১৬ সালের ২৩ জুন গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় এম এ মান্নান ও গোলাম কিবরিয়া নামে একটি মামলা করেন।
পরে গত ১৮ নভেম্বর অর্থ আত্মসাতের মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম এ মান্নানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন। একইসঙ্গে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে এ মামলার অন্য আসামি গোলাম কিবরিয়া খালাস দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় এম এ মান্নান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদিন তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।