X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার সঙ্গে অন্য রোগে আক্রান্তদের মৃত্যু বেশি

জাকিয়া আহমেদ
১৮ মার্চ ২০২১, ১৩:০০আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২১, ১৩:০০

গত দুই মাসের ব্যবধানে আবারও দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। আগের মতোই হাসপাতালগুলো এখন করোনা রোগীতে ভরে উঠছে। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কেবল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নয়, বরং অন্য রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুহার বেশি। এ অবস্থায় করোনার পাশাপাশি যে সব রোগীর অন্য রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসায় বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। করোনার চিকিৎসার পাশাপাশি অন্য রোগেরও চিকিৎসা দিতে হবে। সব রোগের সমন্বিত চিকিৎসার মাধ্যমেই মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন এবং তাদের সবারই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে মারা গেছেন আট হাজার ৬০৮ জন। তাদের মধ্যে ছয় হাজার ৫০৯ জন পুরুষ ও দুই হাজার ৯৯ জন নারী মারা গেছেন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৫ দশমিক ৬২ শতাংশ আর নারী ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বয়স্করা। তার সঙ্গে যোগ হয় অন্যান্য রোগ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে আট জনই ষাটোর্ধ্ব।

গত বছরের ৮ মার্চে দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন জন রোগী শনাক্ত হয় বলে জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রথম তিন রোগী শনাক্তের ঠিক ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চে করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যুর কথাও জানায় প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশ ফেরত স্বজনের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়া ব্যক্তিটি ছিলেন পুরুষ এবং তার বয়স ছিল ৭০ বছরের বেশি।

আইইডিসিআরের তৎকালীন পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সেদিন বলেন, ওই ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন, পাশাপাশি তার হার্টে সেন্ট পরানো ছিল।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে, ধীরে ধীরে সেটি ছড়িয়ে পরে বিশ্বজুড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণা করে ১১ মার্চ। ততদিনে দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পরে আতঙ্ক, দেশে দেশে লকডাউন দিলেও বিশ্বের শক্তিশালী ধনী দেশ হতে শুরু করে দরিদ্রতম দেশটিও করোনা ভাইরাসের এ ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাতে কেন এবং ঠিক কোন পরিস্থিতিতে মৃত্যু হচ্ছে তার পর্যালোচনা দরকার, তাতে অন্তত কিছু মৃত্যু কমানো সম্ভব হতো বা হবে। একইসঙ্গে মৃত্যু কমানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠন করা পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটি করোনাতে মৃত্যু কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে জানিয়ে বলেছিল, করোনাতে শূন্য মৃত্যুর টার্গেট নিয়ে কাজ করতে হবে। আর এজন্য গত ১৭ জুন তারা একটি লিখিত প্রতিবেদন দেয়, যেখানে কাজটি কীভাবে করতে হবে তার কিছু দিক-নির্দেশনা ছিল।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯২ শতাংশই মারা গেছেন আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ১৪ দিনের মধ্যে। আর ২৮ দিনের মধ্যে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৭৬ শতাংশ আর নারী ২৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে মোট মারা যাওয়া আট হাজার ৬০৮ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন চার হাজার ৮০৫ জন; শতকরা হিসেবে ৫৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন দুই হাজার ১৩০জন; ২৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আছেন ৯৭২ জন; ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আছেন ৪২৬ জন; চার দশমিক ৯৫ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আছেন ১৭৩ জন; দুই দশমিক শূন্য এক শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আছেন ৬৫ জন; শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ আর শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে অঅছে ৩৭ জন যা কিনা শূন্য দশমিক ৪৩ দশমিক।

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) “কোভিড-১৯ রোগীদের পরিণতির সঙ্গে সর্ম্পকিত ঝুঁকিসমূহ নিরুপণ” শিরোনামে একটি গবেষণা কাজ পরিচালনা করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের সংক্রমিত হয়ে প্রথম ১৪ দিনের মধ্যে মৃত্যুহার দুই দশমিক তিন শতাংশ আর ১৫ দিন থেকে ২৮ দিনের মধ্যে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক দুই শতাংশ। অর্থাৎ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯২ শতাংশই মারা গেছেন প্রথম ১৪ দিনের মধ্যে। আর তাদের মধ্যে ৭৮ দশমিক তিন শতাংশের এক বা একাধিক অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন। যারা ২৮ দিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের ৮০ শতাংশের ছিল অন্যান্য রোগ।

গবেষণা বলছে, যারা ১৪ দিনের মধ্যে মারা গেছেন তাদের মধ্যে তিন বা তিনের বেশি অন্যরোগ ছিল শতকরা ৩৩ দশমিক দুই শতাংশ রোগীর, দুটি অন্য রোগ ছিল ২৭ দশমিক আট শতাংশ আর একটি অন্য রোগ ছিল এমন রোগীর সংখ্যা ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ।

১৪ দিনের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের ৩৯ দশমিক এক শতাংশের শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ বা সিওপিডি ছিল, ৩৯ দশমিক এক শতাংশের ডায়াবেটিস, ৩৪ দশমিক আট শতাংশ ছিল উচ্চ রক্তচাপ, ১৭ দশমিক চার শতাংশের ছিল হৃদপিন্ডের রক্তনালীর রোগ আর দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছিলেন সাত দশমিক চার শতাংশ রোগী।

আবার ২৮ দিনের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশের ছিল শ্বাসতন্ত্রের জটিল সংক্রমণ, ৩৬ শতাংশের ডায়াবেটিস, ৩৬ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ, ১৬ শতাংশের হৃদপিন্ডের রক্তনালীর রোগ ও দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ছিল ১৬ শতাংশের।

১৪ দিনের ভেতরে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ষাট এবং ষাটোর্ধ্ব ছিলেন ৬০ দশমিক নয় শতাংশ বাকিদের বয়স ৫৯ এর কম। তাদের মধ্যে ৭৮ দশমিক তিন শতাংশ পুরুষ আর ২১ দশমিক সাত শতাংশ নারী। ২৮ দিনের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের ৫৬ শতাংশের বয়স ষাট বা ষাটোর্ধ্ব, তাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ পুরুষ আর বাকি ২৪ শতাংশ নারী।

করোনায় মৃত্যু নিয়ে কাজ করেছে রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এ হাসপাতালের ইতোমধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ৩০০ পার হয়েছে। কিন্তু এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২০২ জনের মৃত্যু নিয়ে তারা বিশ্লেষণ করেছে।

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রুবিনা ইয়াসমিন বলেন, কোমরবিডিটি অর্থাৎ অন্যান্য জটিল রোগের আক্রান্তদের ভেতরে সবচেয়ে বেশি ছিল উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস। ১৩১ জনের উচ্চ রক্তচাপ, ১২৫ জনের ডায়াবেটিস ছিল, সিকেডি অর্থাৎ, হৃদরোগ আর তারপর ছিল অ্যাজমা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী এসেছিলেন এই হাসপাতালে, তারপর জ্বর-কাশি, ডায়েরিয়া নিয়েও রোগীরা এসেছেন।

বেশিরভাগ রোগী মারা গিয়েছেন শূন্য দিন অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই দিনের ভেতরে। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার ভেতরেই বেশিরভাগ রোগী মারা গেছেন—জানান অধ্যাপক ডা. রুবিনা ইয়াসমিন। তাদের মধ্যে ২৫ জন মারা গেছেন ‘জিরো আওয়ারে’ অর্থাৎ হাসপাতালে আসার পরই যোগ করেন তিনি। আর এর বড় কারণ হিসেবে রোগীরা হাসপাতালে না আসা, স্বীকার না করার মতো কারণগুলো রয়েছে বলেন অধ্যাপক রুবিনা ইয়াসমিন। আর যারা মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসে একইসঙ্গে আক্রান্তদের সংখ্যাই বেশি, প্রায় ৮৫ জন।

মৃত্যু কমানোর জন্য ‘ফরমাল স্টাডি’ করছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটি। কাজ শুরু হয়েছে গত অক্টোবর থেকে, তবে সেটা এখনও শেষ হয়নি। সারাদেশ থেকে ১০টি হাসপাতাল নিয়ে কাজ করছে কমিটি। তার মধ্যে রংপুর ও বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, দুইটি চট্টগ্রামের বাকি ছয়টি হাসপাতাল ঢাকার। এরমধ্যে ৭২০টি মৃত্যু রিভিউ করার পরিকল্পনা ছিল, কমিটি পেয়েছে ৬১৬টির তথ্য তারা পেয়েছে।

তবে তার জন্য গত অক্টোবর থেকে শুরু ডেটা কালেকশনই এখন পর্যন্ত শেষ করতে পারলাম না বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান কমিটির সদস্য জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল।

বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, গত অক্টোবর থেকে কেবলমাত্র হাসপাতালের কেস রেকর্ড রিভিউ করে কেন মৃত্যু হয় বা হচ্ছে, সেটা বের করার চেষ্টা করছি। কিন্ত সেই ডেটা কালেকশন আমরা এখন পর্যন্ত শেষ করতে পারিনি। এখন পর্যন্ত ঢাকার হাসপাতালগুলোতে আটকে আছি।

আবু জামিল ফয়সাল বলেন, আমরা ৬১৬টি মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করছি। আশা করছি আগামী কয়েকদিনে মধ্যে এর প্রাথমিক ফলাফল সবার সঙ্গে শেয়ার করতে পারবো।

“মৃত্যু কমানোর জন্য হাসপাতালে আর কী কী করা যেত, কী করা উচিত-এর কিছু দিক নির্দেশনা তখন দিতে পারবো”।

মৃত্যু কমানোর জন্য দুটো বিষয়ে ঘাটতি ছিল বলে আমার মনে হয় মন্তব্য করে আবু জামিল ফয়সাল বলেন, মানুষকে আমরা ভালোভাবে ‘রিস্ক কমিউনিকেট’ করতে পারিনি। অর্থ্যাৎ, কোন রিস্কে গেলে মানুষ হাসপাতালে যাবে বা যেতে হবে-সেটা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোতে ম্যানেজমেন্ট একেকটি একেকভাবে চলেছে।

তবে এখনও যদি মৃত্যুর ঝুঁকি কী করে কমানো যায়-সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। তাতে করে মানুষ সচেতন হবে, সঠিক সময়ে হাসপাতালে যাবে, বলেন তিনি।

নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি ট্রিটমেন্ট গাইডলাইন রয়েছে। আর আমাদের গবেষণাতে প্রথম ১৪ দিনের ভেতরে যেহেতু মৃত্যুহার বেশি, তাই প্রথম ১৪ দিনের যে চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা নীতিমালায় রয়েছে, সেটা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা উচিত বলে আমরা সুপারিশ করেছি।

একইসঙ্গে মৃত্যুহার এবং অসুস্থতার হার কমাতে হলে বৃদ্ধ এবং কোমরবিডি অর্থ্যাৎ যারা অন্যান্য রোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসায় বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিশেষ করে যেসব হাসপাতালগুলোতে করোনাতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য একইসঙ্গে যেন তার অন্যান্য রোগের চিকিৎসাও থাকে সেজন্য আমরা সুপারিশ করেছি, বলেন বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ।

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দিল্লির রেকর্ড রানের জবাবে লড়াই করে হারলো মুম্বাই
দিল্লির রেকর্ড রানের জবাবে লড়াই করে হারলো মুম্বাই
মোরসালিনের ফেরার ম্যাচে ব্রাজিলিয়ানের জোড়ায় জিতলো কিংস
মোরসালিনের ফেরার ম্যাচে ব্রাজিলিয়ানের জোড়ায় জিতলো কিংস
ফার্নিচার কারখানায় ৬০০ বস্তা চিনি মজুত
ফার্নিচার কারখানায় ৬০০ বস্তা চিনি মজুত
নির্বাচনে অংশ নিতে জাপার ওপর চাপ ছিল: জি এম কাদের
পরাজয় ঢাকতে অভিযোগ তুলছে বিএনপিনির্বাচনে অংশ নিতে জাপার ওপর চাপ ছিল: জি এম কাদের
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন: এখনও অপেক্ষায় স্বজনরা
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন: এখনও অপেক্ষায় স্বজনরা