X
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
২১ আষাঢ় ১৪৩২

৩০ মার্চ ১৯৭১: জেলায় জেলায় প্রতিরোধ যুদ্ধ, বাড়ছে শরণার্থী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ মার্চ ২০২১, ০৯:০০আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২১, ০৯:০০

১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের আধিপত্য ভাঙতে পাকিস্তানি জান্তা রিজার্ভ সৈন্যদেরও সবদিকে পাঠাতে শুরু করে। তবে প্রতিরোধের মুখে পড়ে সর্বত্র। ভারতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়লে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন ইন্দিরা গান্ধী। কয়েক লাখ শরণার্থীর পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার খবর শিরোনাম হয়ে ওঠে বিশ্ব গণমাধ্যমে। এইদিন সাধারণ মানুষ বুঝতে শুরু করে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

এইদিনে যশোরের খণ্ডযুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসে পাকসেনারাই ঊর্ধ্বতনদের জানান, মুক্তিসেনাদের বীরত্ব-কথা। নতুন করে সাতক্ষীরাসহ আরও কিছু এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটির খবরে উদ্বিগ্ন পাকজান্তা সারাদেশে পাঠাতে শুরু করে রিজার্ভ সেনাদের। ঢাকার পরে চট্টগ্রাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দুদিনের মধ্যেই পাকিস্তানি সামরিক জান্তার লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী প্রতিরোধের মুখে পড়ে। বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, রাজশাহীসহ নতুন নতুন জায়গা থেকে নানা পর্যায়ের প্রতিরোধের খবর আসতে থাকে।

জীবন বাঁচাতে এপারের মানুষের ঢল নামে ওপার বাংলায়। সে সময়ের বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩০ মার্চেই সেই সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। বাঙালি নারী-শিশু-বৃদ্ধদের সীমান্ত পারের এমন মানবিক বিপর্যয় ১৯৪৭ এর দেশভাগের সময়ও হয়নি বলে নানা সময়ে গবেষকরা উল্লেখ করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতি তার নিজের, ভারতীয় জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে একাত্মতা ও সংহতি ঘোষণা করেন।

১৯৭১ সালের এই দিনে যা যা আছে তাই নিয়ে বীর বাঙালি সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।  এই ৩০ এবং ৩১ মার্চ গাংনী উপজেলায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে আনসার মুজাহিদ ও সাধারণ জনগণের লড়াই হয়। ৩০ মার্চ নাটোরের লালপুরে ‘ময়নার যুদ্ধে’ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সাঁওতাল ও বাঙালিরা সম্মিলিতভাবে। সেটি ছিল সম্মুখযুদ্ধ।

/ইউআই/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
‘নতুন করে লিখতে আপত্তি নেই, তবে এটি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে ভালো সংবিধানের একটি’
‘নতুন করে লিখতে আপত্তি নেই, তবে এটি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে ভালো সংবিধানের একটি’
‘যারা হাসিনাকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করেছে তারাও পিআর নির্বাচন চায়’
‘যারা হাসিনাকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করেছে তারাও পিআর নির্বাচন চায়’
তুরস্কে বিরোধীদলীয় আরও ৩ মেয়র গ্রেফতার
তুরস্কে বিরোধীদলীয় আরও ৩ মেয়র গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
৯ ধরনের মামলার আগে মধ্যস্থতার বাধ্যবাধকতা: বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে?
৯ ধরনের মামলার আগে মধ্যস্থতার বাধ্যবাধকতা: বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে?
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
আই উইল বি আ মাদার: জায়েদ খানকে তিশা
আই উইল বি আ মাদার: জায়েদ খানকে তিশা
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড: মাহফুজ আলম
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড: মাহফুজ আলম
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ