X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লকডাউনে পোশাক-বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি ৪ সংগঠনের

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ এপ্রিল ২০২১, ১৫:১২আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৩৫

কঠোর লকডাউনেও পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে পোশাক খাতের চার সংগঠন। রবিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ) ও এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)-এর নেতারা।

ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ‘গার্মেন্টস কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে না রাখা হলে রফতানি বাজার হারাবে বাংলাদেশ। এছাড়া শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘আগামী ১৪ তারিখ থেকে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। তবে এই লকডাউন কর্মসূচিতে পোশাক খাতকে বাইরে রাখার আবেদন জানাচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, পোশাক খাতের বর্তমান বাস্তবতা চিন্তা করে গার্মেন্টস কারখানাগুলোকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা জরুরি।

মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘গত বছর সাধারণ ছুটি এবং পরবর্তী সময়ে দুই ঈদে শ্রমিকরা যেভাবে শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন, আমরা সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছি। আমাদের আশঙ্কা, লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই অনেক শ্রমিক শহর ছাড়তে পারেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই শ্রমিকেরা যদি শহর ছাড়েন, তবে তা দেশব্যাপী সংক্রমণের ঝুঁকি বহু গুণ বাড়িয়ে দেবে। এ অবস্থায় সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, সার্বিক দিক বিবেচনায় রফতানিমুখী পোশাক খাতসহ বস্ত্র খাতের সহযোগী শিল্পগুলোকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হোক।’

সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের রফতানি আদেশ হারিয়েছে পোশাক খাত এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় রফতানি হারিয়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ। ২০২০ সালের এপ্রিল নাগাদ পোশাক খাতের এক হাজার ১৫০টি সদস্য প্রতিষ্ঠান ৩১৮ কোটি ডলারের কার্যাদেশ বাতিল ও স্থগিতের শিকার হয়েছে। ৯০ শতাংশ প্রত্যাহার হলেও মূল্যছাড় ও ডেফার্ড পেমেন্ট মেনে নিতে হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য মো. আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সদ্য নির্বাচিত বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র সভাপতি সেলিম ওসমান প্রমুখ।

ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ‘জনগণের কল্যাণে ও অর্থনীতির কল্যাণে গার্মেন্টস তথা রফতানি খাত খোলা রাখা জরুরি।’

তারা আরও বলেন, ‘সরকার গার্মেন্টস বন্ধ করে দিলে শ্রমিকদের দায়িত্ব গার্মেন্টস মালিকরা নেবে না। বন্ধ হলে শ্রমিকরা গ্রামগঞ্জে ছুটে যাবে, এতে করোনার প্রাদুর্ভাব আরও বেড়ে যাবে। আর বন্ধ না করা হলে গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।’

ব্যবসায়ী নেতারা এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা গণমাধ্যমেরও সহায়তা চান।

 

 

/জিএম/এমএএ/
সম্পর্কিত
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
‘নীরব এলাকা’, তবু হর্নের শব্দে টেকা দায়
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সর্বশেষ খবর
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত