X
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
১৫ আষাঢ় ১৪৩২

সর্বাত্মক লকডাউন নিয়েও শঙ্কা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৮:১৭আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৮:১৭

আগামীকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১৩ দফা নির্দেশনাসহ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু গত দুইবারের নানা নির্দেশনা ভেঙে যেভাবে মানুষ বেরিয়ে এসেছে সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবারও শঙ্কা নিয়েই প্রশাসন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জারি করা নির্দেশনা ১৪ এপ্রিল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। গতবার সাতদিনের জন্য ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও এইবার সবসরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছুটি পেয়ে যেন সব ঘুরতে বা গ্রামের বাড়ি বেড়াতে রওনা না হয় সেজন্য কর্মীদের কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

গতবার সাত দিনের জন্য জারি করা কঠোর বিধিনিষেধ জারির দুইদিনও ঘরে রাখা যায়নি মানুষকে। তাতে দিনের পর দিন সংক্রমণ ও মৃত্যু দুই-ই বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও খুব কড়াকড়ি করতে দেখা যায়নি তবে এবারের প্রস্তুতি ভিন্ন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার ইফতে  খায়রুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে সরকারের যে বিধিবদ্ধ দায়িত্ব সেটা পালন করবে পুলিশ। তাছাড়া নিয়মিত চেকপোস্টগুলো তাদের কাজ চালিয়ে যাবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিল্প কারখানা চালু রেখে, কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের বাজারে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টাপর্যন্ত খোলা ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ দিয়ে আসলে মানুষকে কীভাবে ধরে রাখা যাবে তা বোধগম্য নয়।

যদিও কারখানা চালু রাখতে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে বলা হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে কারখানাগুলোকে বাধ্য করা হবে। আর যেসব কারখানাস্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানবে না সেসব কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে মানুষকে ঘরে রাখার বেঁধে ফেলার মতো ব্যবস্থা রাখতে হবে, সেখানে কাঁচাবাজার, হোটেল খোলারাখলে মানুষ ঘরে থাকবে না মন্তব্য করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল বলেন, এ বিধিনিষেধ দিয়ে সংক্রমণের প্রবাহ  রোধ করা যাবেনা। যেহেতু একদম ঢালাওভবে সবকিছু বন্ধ করা যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে সরকারের উচিত ছিল যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানে ক্লাস্টার লকডাউন দেওয়া।

এই দোলাচলের মধ্যে ১৪ তারিখ থেকে কতটা বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করা যায় সে চেষ্টা অব্যাহত কয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের আসলে এ মুহূর্তে যেটা করণীয় সেটাই করা হয়েছে। এই দফা বিধিনিষেধগুলো মানতে হবে।তবে আজকের দিনটা হাতে আছে, কোন অসংগতি মনে হলে সেটা ফিক্স করা যাবে। মানুষ কেউ অপ্রয়েজনে বের হতে পারবে না।’

 

/ইউআই/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফায় সপ্তম দিনের বৈঠক আজ
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফায় সপ্তম দিনের বৈঠক আজ
জীবিত মাকে মৃত দেখিয়ে ছেলের ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ, মায়ের সংবাদ সম্মেলন
জীবিত মাকে মৃত দেখিয়ে ছেলের ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ, মায়ের সংবাদ সম্মেলন
নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলায় ইসরায়েলি প্রসিকিউটরদের তীব্র সমালোচনা ট্রাম্পের
নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলায় ইসরায়েলি প্রসিকিউটরদের তীব্র সমালোচনা ট্রাম্পের
চরম অচলাবস্থায় বাণিজ্য, প্রতিদিন ২৫০০ কোটি টাকার ক্ষতির শঙ্কা
আজও এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’চরম অচলাবস্থায় বাণিজ্য, প্রতিদিন ২৫০০ কোটি টাকার ক্ষতির শঙ্কা
সর্বাধিক পঠিত
খুলনা প্রেসক্লাবে প্রেস সচিবকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ
খুলনা প্রেসক্লাবে প্রেস সচিবকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ
সরকারি গাড়িতে দাওয়াতে গেলো ইউএনও’র পরিবার
সরকারি গাড়িতে দাওয়াতে গেলো ইউএনও’র পরিবার
বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছিলেন অফিস সহকারী হয়ে, বেরোলেন এমবিএ’র সনদ নিয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছিলেন অফিস সহকারী হয়ে, বেরোলেন এমবিএ’র সনদ নিয়ে
মুরাদনগরে গলায় ছুরি ধরে নারীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
মুরাদনগরে গলায় ছুরি ধরে নারীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
‘সরকার দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে আন্দোলন ঘোষণা করবো’
‘সরকার দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে আন্দোলন ঘোষণা করবো’