X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

সুপার শপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা

গোলাম মওলা
২৫ এপ্রিল ২০২১, ১৫:১৬আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৪৪

কঠোর লকডাউনের মধ্যেও সুপার শপগুলো মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ক্রেতারাও স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছেন এখানে। রাজধানীর মীনা বাজার, আগোরা, স্বপ্নসহ বেশ কয়েকটি সুপার শপের আউটলেট ঘুরে দেখা গেলো এমনটা।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় সব আউটলেটেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কঠোরতা পালন করা হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন খোলাবাজার বা অলিগলির দোকানগুলোতে যেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, সেখানে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কোনও ক্রেতা সুপার শপগুলোতে ঢুকতেও পারছেন না।

সচেতন ক্রেতারা জানালেন, ‘দেশের কাঁচাবাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না। জিনিসপত্রের দামও চড়া। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতারও অভাব আছে। এ কারণে আমাদের মতো অনেকই সুপার শপমুখী হচ্ছেন।’

রাজধানীর সব সুপার শপের প্রবেশ পথেই শরীরের তাপমাত্রা চেক করার ব্যবস্থা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও স্প্রে ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া ঢুকতে পারছেন না কেউ। এছাড়া ভেতরেও সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সুপার শপের কর্মীরা। গাদাগাদি করে বা অতিরিক্ত মানুষ একসঙ্গে ঢুকতে পারছেন না।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘মহামারি করোনার এই সময়ে আমরা পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছি। তারপর সুপার মার্কেটগুলোকে বিভিন্নভাবে দোষারোপ করার চেষ্টা করা হয়।’

তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিটি সুপার শপের আউটলেটে যেন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়, সে জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে।

ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মীনা বাজার আউটলেটের ক্রেতা শহিদুল ইসলাম লিটনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি কেন সুপার শপ থেকে পণ্য কিনছেন। জবাবে জানালেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য মীনা বাজার সুপার শপ কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ক্ষেত্রে যেমন সচেতন, তেমনি ক্রেতারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করতে নিরাপদ বোধ করেন। শুধু মীনাবাজারই নয়, সব সুপার শপেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা গেছে।’

জানা গেছে, গত বছর করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই সুপার শপগুলো পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আসছে। এ প্রসঙ্গে মীনা বাজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহীন খান বলেন, ‘মহামারি যখন শুরু হয়, তখন থেকেই আমাদের কর্মী ও গ্রাহকদের সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। অলিগলির দোকানগুলোতে যেখানে কোনও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, সেখানে গত এক বছর ধরে আমরা স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ অনুসরণ করছি।’

মীনা বাজার কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে এবং প্রতিনিয়ত মেঝে এবং পণ্যের তাকগুলো জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করছে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মীনা বাজার একসঙ্গে বেশি গ্রাহককে প্রবেশও করতে দিচ্ছে না।

এর ফলে সুপার শপগুলোর এই খাতে খরচ কিছুটা বেড়েছে বলেও জানালেন শাহীন খান। তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে আমাদের ওপর ভ্যাটের যন্ত্রণাও চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সার্বিকভাবে গতবারের চেয়ে এবারের লকডাউনে সুপার শপগুলো তুলনামূলক ক্রেতা কম পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রাজধানীর বিভিন্ন সুপার শপের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ মানুষ যারা করোনাভাইরাসের বিষয়ে সচেতন, তারা প্রচলিত বাজারের চেয়ে সুপার শপকেই নিরাপদ মনে করছে। অবশ্য ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, সুপার শপের ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য অতিরিক্ত বোঝা। এর কারণে ক্রেতাদের অনেকে সুপার শপে আসতে চান না।

বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, দেশে সুপার শপের প্রায় ৩০০টি আউটলেট রয়েছে।

 

/এফএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে কোনও অগ্রগতি হয়নি: ট্রাম্প
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে কোনও অগ্রগতি হয়নি: ট্রাম্প
আ.লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ সদস্য আটক
আ.লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ সদস্য আটক
হিজরি সনের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক গভীর যে কারণে
হিজরি সনের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক গভীর যে কারণে
চকরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চকরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল