আগে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই। এই অগ্রগামিতো ধরে রেখেছিল প্রথমার্ধ পর্যন্ত। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলার চিত্রই বদলে গেলো। ম্যানচেস্টার সিটি ঘুরে দাড়িয়ে ম্যাচে সমতা আনার পর জয়সূচক গোলও পেলো। তাতেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগ জিতে নিয়েছে পেপ গার্দিওয়ালার দল। বুধবার রাতে ১০ জনের পিএসজিকে হারিয়েছে ২-১ গোলের ব্যবধানে।
পার্ক দেস প্রিন্সেস এ অবশ্য ম্যাচের প্রথমার্ধে খেলেছে অবশ্য নেইমার-দি মারিয়ারা। যদিও বল দখলের লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে ছিল। কিন্তু আক্রমণে তারা এগিয়ে।
১৩ মিনিটে ভেরাত্তির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে নেইমার পোস্টে শট নিলেও দুর্ভাগ্যক্রমে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
দুই মিনিট পরই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় মরিসিও পচেত্তিনোর দল। ১৫ মিনিটে দি মারিয়ার কর্নার থেকে নিঁখুত হেডে মারকুইনহোস স্কোরলাইন ১-০ করেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২ ম্যাচে ৫ গোল এই ব্রাজিলিয়ানের। আর ডিফেন্ডার হয়ে এক লিগে তিন গোল হলো। যা সবশেষ ২০১৮-১৯ মৌসুমে অ্যাজাক্সের হয়ে টাগলিফিকো করেছিলেন।
৪০ মিনিটে নেইমার পড়ে গেলে পেনাল্টির আপত্তি উঠেছিল। কিন্তু রেফারি তাতে সায় দেননি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে এসে ম্যানচেস্টার সিটি প্রায় গোল শোধ দিয়েই ফেলেছিল। কিন্তু ৪২ মিনিটে সতীর্থের স্কয়ার পাসে ফিল ফোডেনের জোরালো শট গোলকিপার নাভাস প্রতিহত করে দলকে এগিয়ে রাখেন।
১ -০ গোলে এগিয়ে থেকে ড্রেসিংরুম থেকে ফিরে এসে নেইমার-এমবাপেরা আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। তবে গোলের দেখা পায়নি।৫৬ মিনিটে এমবাপের ক্রসে ভেরাত্তি পা ছোঁয়াতে পারেননি। তিন মিনিট পর দি মারিয়ার ডিফেন্স চেরা পাস থেকে এমবাপে শট নেওয়ার আগে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে গোলকিপার এডারসন বিপদমুক্ত করেন।
ম্যান সিটি এরপর থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আক্রমণে গেছে। ৬১ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার ভলি ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়।
তবে তিন মিনিট পরই ব্রুইনা সমতা সূচক গোলটি করেছেন। এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের সরাসরি ক্রস থেকে গোল হয়। গোলকিপার নাভাসও বুঝে উঠতে পারেননি।
৭১ মিনিটে স্কোরলাইন ২-১ হয়। রিয়াদ মাহরেজের ফ্রি-কিক ওয়ালের ফাঁক দিয়ে জাল কাঁপায়। নার্ভাস জায়গা থেকে নড়ার সুযোগই পাননি।
নেইমারদের জন্য দুঃসংবাদ আরও অপেক্ষা করছিল। ৭৭ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত! গুন্দোগনকে পায়ে আঘাত করে ইদ্রিসা গায়া দেখেন লাল কার্ড।
১০ জনের দল নিয়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেই আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। হার মানতে হয়েছে ২-১ গোলেই।