X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

লুব্রিকেন্টের দামে ৭০০ টাকার ফারাক, মাথাব্যথা নেই বিতরণ কোম্পানির!

সঞ্চিতা সীতু
১৪ মে ২০২১, ১৪:২৩আপডেট : ১৪ মে ২০২১, ১৮:৫৬

গাড়ি চালাতে তেল যেমন প্রয়োজন, তেমনি লাগে লুব্রিকেন্টও। কিন্তু তেলের দাম সবখানে সমান হলেও লুব্রিকেন্টের দাম সমান নয়। ইচ্ছেমাফিক এর দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে।

খোদ জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান অভিযোগ করেন, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের মডেল ফিলিং স্টেশনে ভিসকো-৫০০০ মোবিল বিক্রি হয় ৪ হাজার ১০০ টাকায়। একই মোবিল অন্য জায়গায় কিনতে হয় চার হাজার ৮০০ টাকায়। একই মোবিলের দাম ৭০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে কেন?

জ্বালানি সচিব এমন প্রশ্ন ছোড়েন মেঘনা তেল বিপণন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর সাইফুল্লাহ আল খালেদের কাছে। তিনি জানান, এ বিষয়ে ডিলারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক বললেন, কোনও ডিলার এমন করলে তার লুব্রিকেন্ট সরবরাহই বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সঠিক দামে সঠিক পণ্য বিক্রি হচ্ছে কি না তা দেখভালের লোক রয়েছে এসব বিপণন কোম্পানির। পেট্রোল পাম্পগুলো ঘুরে ঘুরে এসব দেখার দায়িত্ব তাদের। সভায় প্রশ্ন উঠেছে, তারা কি আদৌ দায়িত্ব পালন করছেন?

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)-এর চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক সভায় জানান, সম্প্রতি তিনি সিলেটে গিয়ে পদ্মা এবং যমুনা তেল বিপণন কোম্পানির দুটি পেট্রোল পাম্প পরিদর্শন করেন। দুটি পাম্পের পরিদর্শন বই যাচাই করে দেখেন, সরকারি তেল বিতরণ কোম্পানি দুটির কোনও কর্মকর্তাই পরিদর্শনে আসেন না। অর্থাৎ পাম্পগুলো কী করছে তার কোনও খোঁজই রাখছে না তেল বিতরণ কোম্পানিগুলো।

ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে। কোন শ্রেণির কর্মকর্তা কতো দিন পরিদর্শন করবেন তার একটি তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি বিপিসিতে যোগ দেওয়ার পর কোনও ধরনের পরিদর্শন প্রতিবেদনও দেখেননি।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে এককভাবে বিপিসি তেল আমদানি করে পদ্মা, মেঘনা, এবং যমুনা বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে বিক্রি করে। এই তিনটি কোম্পানিই সরকারি। এরা ডিলারের কাছে তেল বিক্রি করে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ডিজিএম-এজিএম পর্যায়ের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গেলে ডিলারদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসার প্রয়োজন মনে করেন না।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দীক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তেল বিক্রি নেটওয়ার্ক তো সারাদেশে আছে। জ্বালানি এমন এক পণ্য যেখানে ভেজাল দেওয়া, ওজনে কম দেওয়ার সুযোগ আছে। কর্মকর্তারা যদি নিয়মিত পাম্পগুলো পরিদর্শন করেন, তবে সবাই সতর্ক থাকবে। লুব্রিকেন্টের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক কোম্পানি এখন লুব্রিকেন্ট বিক্রি করে। এদের একেকটার মান এবং দাম ভিন্ন। গ্রেডও আলাদা। কোনওটা শিল্পের, আবার কোনওটা গাড়ির। মানুষ তো সব বোঝে না। দেখা যাচ্ছে, পাম্পগুলো কম গ্রেডের লুব্রিকেন্ট বেশি দামে বিক্রি করছে। একই সমস্যা দেখা যায় বিটুমিনের ক্ষেত্রেও। এজন্যই পরিদর্শনের ওপর জোর দিচ্ছি। যাতে এ প্রতারণা ও অনিয়ম বন্ধ হয়।’

 

/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১৩ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে মরিয়া সহকর্মীরা
১৩ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে মরিয়া সহকর্মীরা
ফিরে দেখা: ৪ জুলাই ২০২৪
ফিরে দেখা: ৪ জুলাই ২০২৪
গ্রেনাডাতেও ওয়েবস্টার-ক্যারির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া
গ্রেনাডাতেও ওয়েবস্টার-ক্যারির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি