ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে ভোলার মেঘনা, তেতুলিয়া নদীসহ সকল নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়ে দুই ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ হাজার মানুষ।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢাল চর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের তিনটি গ্রাম ও চর মানিকা ইউনিয়নের ৩টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেড়ের মাছ। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার ও চর মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিউল্লাহ হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার ভোরের দিকে হঠাৎ করে জোয়ারের কারণে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পুকুর ও ঘেড়ের মাছ ভেসে গেছে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে দুই ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য কোস্টগার্ড সদস্যরা কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের লে. তাহসিন রহমান।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে দমকা বাতাস বইছে।