প্রযুক্তি বন্ধ না করে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির দাবি, প্রযুক্তি বন্ধ নয় নিয়ন্ত্রণেই হতে পারে সমাধান।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে টিকটক, লাইকি, ভিগো, ফ্রি ফায়ার,ও পাবজি গেম বন্ধ করার দাবি ওঠেছে। বিশেষ করে ‘টিকটক হৃদয়ের’ নারী পাচার কেলেঙ্কারি ও ১০০ কোটি টাকা অর্থ পাচারের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার নিয়ে ব্যাপক আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তাই প্রযুক্তি বন্ধ না করে নিয়ন্ত্রণে সমাধান হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রবিবার (২০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বর্তমান আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও সবার সামর্থ্যের মধ্যে ব্যবহারযোগ্য করতে সরকার বদ্ধপরিকর এবং আমাদের দাবি। এ মাধ্যমগুলো বন্ধ না করে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় আমরা সে দাবি তুলে আসছি। এ মাধ্যমগুলো ছাড়াও বর্তমানে ইমোতে যৌন ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। অন্যদিকে অপেরা মিনি, ফেসবুকে অশ্লীলতা ও মাদকের হাট রয়েছে।
‘আমাদের মনে হয়েছে, এতে করে প্রশ্ন ওঠতে পারে সব সামাজিক মাধ্যম কী বন্ধ করে দেওয়া হবে? বর্তমান প্রযুক্তির ব্যবহার একক মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়েছে। আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য সেন্সর বোর্ডের অনুমতি নিতে হয়। অথচ সেন্সরবোর্ডের বর্তমানে কোনও কাজ নেই। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোতে চলছে অশ্লীল চলচ্চিত্র। তাই সেন্সর বোর্ডকে প্রযুক্তিবান্ধব করে বিটিআরসির সঙ্গে সব যোগাযোগমাধ্যমকে সেন্সর’র আওতায় আনা গেলে বা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে অনেকাংশেই অপব্যবহার বন্ধ করা যাবে।’