X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক মহল অগ্রগামী নয়’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ জুন ২০২১, ০১:০৪আপডেট : ২১ জুন ২০২১, ০১:০৪

রোহিঙ্গাদের জন্য সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটা ফান্ড আসে, সেখানে থেকে দিচ্ছে। সেটি কিন্তু শুধু বাংলাদেশে দিচ্ছে না, মিয়ানমারেও দিচ্ছে। আল্টিমেটলি তারা মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে খুব একটা ভূমিকা রাখতে পারছে না এবং খুব বেশি চেষ্টাও করছে না। রবিবার (২০ জুন) আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস উপলক্ষে পেন বাংলাদেশ আয়োজিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক আলোচনা সভায় অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর এসব কথা বলেন। 

আসিফ মুনীর আরও বলেন, রোহিঙ্গারা যেমন আমাদের এখানে এসে ঘর বাড়ি করছে, আমাদের বন উজার করে ফেলছে। এদের তো উপায় নেই। এদের বিকল্প পথটা কি, এখন সরকার একটা বিকল্প চিন্তা করে বলেছে ভাসানচর। কিন্তু সেটা তো পুরোপুরি সমাধান নয়। কারণ সে অবশ্যই তার নিজের দেশে ফেরত যেতে চায়। এখন কক্সবাজার এলাকা ছেড়ে তারা কেন যেতে চায় না, কারণ ওরা ওখান থেকে তাকালে তার নিজের গ্রামটা দেখতে পায়। যে গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তাদের হত্যা করা হয়েছে। তারা নিজেরাই তো কক্সবাজার থেকে দূরে যেতে চায় না। কারণ শেষ পর্যন্ত তারা চায় নিজের দেশে ফেরত যেতে। যেহেতু সমাধান সহজ নয়, এখানে আন্তর্জাতিক মহলের এক ধরনের দ্বিচারিতা আছে। সেই দ্বিচারিতার কারণে এটা খুব বেশি অগ্রগতি হচ্ছে না। এটা এখন একটি আন্তর্জাতিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল মানবাধিকারের জায়গায় সমাধানের ক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রগামি হয়নি, চেষ্টা করেনি, এমনকি একজোট হতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মহল রোহিঙ্গা ইস্যুতে খুব একটা ভূমিকা রাখতে পারছে না। তারা অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো কাজ করছে। তারা মানবিক সহায়তা দিচ্ছে।

কথাসাহিত্যিক এবং পেন বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, অভিবাসন অনেক সময় একধরনের বাঁচার উপায় হয়ে দাঁড়ায়। আমরা নিজেরাও জানি না কি কারণে অনেকে ঘর বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশিরা নৌকাডুবিতে মারা যাচ্ছে। তারা কেন যাচ্ছে সেখানে, অর্থনৈতিক কারণ ছাড়াও রাজনৈতিক কারণেও আমাদের দেশ থেকে অনেক আগে অভিবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যারা বাইরে থেকে এসেছেন তারাও আমাদের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করেছেন। আর অভ্যন্তরীণ একটা অভিবাসন প্রক্রিয়া নিঃশব্দে চলে, গ্রাম ছেড়ে মানুষ শহরে চলে আসে। এই বিষয়টাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলে অভিবাসন থেকে আমরা কখনও দূরে থাকতে পারবো না।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ঢাকা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি হুমায়ূন কবির ভুঁইয়া বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমাদের দিক থেকেও একটা অবহেলার বিষয় ছিল, আমরা সিরিয়াস ছিলাম না। যে কারণে আমরা এখন ভুগছি। আমি বহুবার ক্যাম্পগুলোতে গিয়েছি, এরা খুবই একটা অসহায় অবস্থায় আছে। আমার মনে হয় না কেউ বলতে পারবে যে – এটার সমাধান হবে।

অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত ছিলেন, পেন বাংলাদেশের মহাসচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, কবি শামীম রেজা প্রমুখ। 

 

/এসও/এফএএন/ 
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী