মাঠের বাস্তবতা দিয়ে ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি ও তার সরকারকে মূল্যায়ন করবে সৌদি আরব। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।
তিনি বলেন, ইরানের পররাষ্ট্র নীতিতে সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্যই শেষ কথা। বিদেশ নীতির যে কোনও ক্ষেত্র তার নিয়ন্ত্রণে। ফলে মাঠের বাস্তবতাই দেশটির প্রতি রিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করবে। নতুন সরকারকে এভাবেই মূল্যায়ন করা হবে। সরকারের দায়িত্বে যে-ই থাকুক না কেন!
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যেসব প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা যায়নি; সেগুলো নিয়ে নিজ দেশের উদ্বেগের কথাও জানান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
নির্বাচিত হওয়ার পর সোমবার নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আরব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নের ব্যাপারে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন রায়িসি। রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কোনও বাধা নেই উল্লেখ করলেও সৌদি আরবকে তিনি অবিলম্বে ইয়েমেনে হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানান। অন্যদিকে সৌদি আরব বরাবরই ইরানের বিরুদ্ধে ইয়েমেন, লেবানন, ইরাক ও সিরিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে আসছে।
২০১৮ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় পরে প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করার মতো জায়গা থেকে অনেকটাই সরে আসে রিয়াদ। দীর্ঘদিন পর ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল ইরাকের রাজধানী বাগদাদে দুই দেশের কর্মকর্তাদের প্রথম সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সৌদি আরবে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের হামলা ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্র: রয়টার্স।