X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘শিক্ষকরাই হবেন শুদ্ধাচারের প্রতীক’

 বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০১ জুলাই ২০২১, ১৮:৪৪আপডেট : ০১ জুলাই ২০২১, ১৮:৪৪

‘শিক্ষকরাই সমাজে শুদ্ধাচারের প্রতীক’ হবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন’ নিয়ে বুধবার (৩০ জুন) রাতে অংশীজনের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীতে শুদ্ধাচারের শ্রেষ্ঠ জায়গা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে শুদ্ধাচারের পথ দেখানো হয়। শিক্ষক নিজে ক্লাসে যা পড়াবেন, সেটিই হবে ওই সমাজের শুদ্ধাচারের প্রতীক। শিক্ষক যা করবেন, সেটি হবে ওই সমাজে শুদ্ধাচারের বাস্তব উদাহরণ।’

উপাচার্য বলেন, ‘‘ইনটিগ্রিটির প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমাদের মাধ্যমেই অন্যান্য প্রতিষ্ঠান শিখবে। এটাই সমাজের একটা ‘সেট নরমস’। সুতরাং, এটার দায়বদ্ধতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের ওপর বেশি পড়ে। প্রতিষ্ঠানের ভেতরের যে শুদ্ধাচার সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’’

শিক্ষকদেরকে পাঠদান এবং গবেষণায় বেশি নিবিষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের মনে রাখা উচিত, শিক্ষক যে সম্মান পান সেটা তো সমাজের অন্য পেশার মানুষ পান না। শিক্ষক অন্যের কাছে বিশেষ করে শিক্ষার্থীর কাছে যেরকম মডেল, সেরকম তো সমাজে আর নেই। তাহলে আমাদের শূন্যতা কোথায়? দারিদ্র্য কোথায়? এপিএ, ইনটিগ্রিটি, সিটিজেন চার্টার যাই বলি না কেন, একজন শিক্ষকের ক্লাসরুম তার পবিত্র প্রাঙ্গণ।’

উপাচার্য  আরও  বলেন, ‘বেতনের মাপকাঠিতে যদি বলেন, তাহলে আমরা হয়তো পিছিয়ে আছি। কিন্তু মর্যাদার মাপকাঠিতে আমরা অনেক এগিয়ে আছি। প্রাইমারি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সমাজে অনেক বেশি পূজনীয়। সমাজ এখনও এই ধারণ পোষণ করে।’

অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ তরুণকে আমরা ধারণ করি। তাদের যদি আমরা তৈরি করে দিতে পারি, শুদ্ধাচার শিক্ষা দিতে পারি, তাহলে আগামীর বাংলাদেশ মেরুদণ্ড সোজা করে উন্নয়নের গতিধারায় প্রবাহিত হবে। সেই উন্নয়ন শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, সেই উন্নয়ন সাংস্কৃতিক জাগরণ। বাংলাদেশকে তারা দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গভীরভাবে ভালোবাসবে।’

মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শুদ্ধাচার দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জয়ন্ত ভট্টাচার্যের পরিচলনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় প্রধান ও বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা।

উল্লেখ্য, ২৯ জুন সিটিজেন চার্টার বিষয়ে সভা এবং  ২৮ জুন নৈতিকতা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

/এসএমএ/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও দ্রুত সেবা দেওয়ার নির্দেশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজের পাঠদানও বন্ধ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ
সর্বশেষ খবর
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
উবারের ‘নো কমেন্টস’ এর পরে কমেন্টস
উবারের ‘নো কমেন্টস’ এর পরে কমেন্টস
ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে বাস উঠে পড়লো রেললাইনে, ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার
ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে বাস উঠে পড়লো রেললাইনে, ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…