বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাই পর্বে লাওসের বিপক্ষে গোল করে আলোচনায় চলে আসেন রবিউল হাসান। আরামবাগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর বসুন্ধরা কিংসে নাম লেখান। কিন্তু ততদিনে ফুটবলের প্রতি তার আকর্ষণ কমছিল। অনুশীলনে অনিয়মিত থাকার পাশাপাশি শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে কিংস থেকে বিদায়ও নিতে হয়। ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানে এসেও সেই একই দশা। শেষ পর্যন্ত সাদা-কালো শিবির থেকেও মৌসুম শেষ না করেই পাততাড়ি গুটাতে হয়েছে! আজই (শনিবার) ক্লাব থেকে বিদায় নিয়েছেন দেশের ফুটবালের উঠতি এই প্রতিভা।
প্রায় দুই বছর আগে চট্টগ্রামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ খেলতে গিয়ে রবিউল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমি দক্ষিণ এশিয়ার সেরা মিডফিল্ডার হতে চাই।’
কিন্তু সেই স্বপ্নের পথে হাঁটেননি টাঙ্গাইলের এই ফুটবলার। দিন কে দিন অনিয়ম আর শৃঙ্খলারভঙ্গের কারণে নিজের অবস্থান নিচের দিকে নিয়ে গেছেন।
বসুন্ধরা ২০১৯ সালে তাকে দলে ভিড়িয়ে সেভাবে সার্ভিস পায়নি। এবার মোহামেডান মধ্য বিরতিতে তাকে নিয়ে সঠিক পথে আনতে পারেনি। তিনবার কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও শোধরাতে পারেননি রবিউল।
শেষ পর্যন্ত আজই ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে তাকে। মোহামেডানের পরিচালক ও ম্যানেজার আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করে রবিউলকে সঠিক পথে আনতে পারিনি। আমাদের অস্ট্রেলিয়ান কোচও ক্ষুদ্ধ ছিলেন। তিনবার শোকজও করা হয়েছিল। অনেক বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই ফুটবলে তার মন নেই। এখন ক্লাব থেকে তাকে বিদায় জানানো হয়েছে। এই মৌসুমে আর সাদা-কালো জার্সিতে রবিউলকে দেখা যাবে না।’
রবিউলের সর্বশেষ অবস্থান জানতে মোবাইল ফোনে কল করলেও পাওয়া যায়নি তাকে।
এমনিতে দেশে প্রতিভাবান ফুটবলারদের সংকট। আর এই সময়ে রবিউলের চরম অধোগতি ফুটবলের জন্য নিশ্চয় ভালো খবর নয়!