ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে জমে উঠেছে হবিগঞ্জের সর্ববৃহৎ পশুর হাট জনতার বাজার। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে পশুর হাট বসায় সড়কে ছিল তীব্র যানজট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হলেও হাটে পুরোপুরিই উপেক্ষিত ছিলো স্বাস্থ্যবিধি।
শনিবার (১৭ জুলাই) বিকালে হাটটিতে বিপুল পরিমাণ জনসমাগম হয়। জনতার বাজার পশুর হাটটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ঘেঁষা নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। শনি ও সোমবার এ হাট বসে।
জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে জনতার বাজার পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে কোরবানির পশু কেনাবেচা করতে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয়ের নির্দেশনা থাকলেও মানা হয়নি কোনওকিছুই। সকাল থেকে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হলেও অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখেই ছিলো না মাস্ক। কারও কারও মাস্ক থাকলেও তা পকেটে কিংবা থুতনিতে। ছিলো না স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।
কাওছার আহমেদ নামে এক তরুণ পশু খামারি বলেন, জনতার বাজারে প্রচুর কাদা কাদামাটি। তবে তুলনামূলকভাবে গরুর ভালো দাম পেয়েছি।
তানিম হোসেন মোজাক্কির নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে পশুর দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারিনি।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহি উদ্দিন বলেন, পশুর হাটে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেক মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকিং করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।