ঈদুল আজহায় ঢাকায় থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। ঈদের দিন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায়ও যেতে পারেন তারা। তবে, কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি বড় অংশ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন। দলের মিডিয়া উইং ও কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৮ জুলাই) বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ঈদের নামাজ ঢাকাতেই আদায় করবেন। এরপর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে পারেন। অনেক নেতা ঈদের পর নিজেদের এলাকায় যেতে পারেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ঈদের পর নিজ এলাকায় যেতে পারেন বলে জানান শায়রুল কবির খান।
এলাকায় ঈদ করছেন যারা
শায়রুল কবির খান জানান, খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম, খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র মনিরুল হক, অমিত রফিকুল ইসলাম বকুল এলাকায় ঈদ করছেন। বরিশাল বিভাগের অন্যতম নেতা বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আহবায়ক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন তার এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
তিনি জানান, সিলেটের মেয়র আরিফুর হক চৌধুরী ও চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন এলাকায় ঈদ পালন করবেন। এ ছাড়া, রাজশাহী বিভাগের অন্যতম নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলও নিজ এলাকায় থাকবেন।
শায়রুল কবির বলেন, ‘ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন বলে জানিয়েছেন। রংপুর বিভাগের অন্যতম নেতা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুদুও থাকবেন নিজের এলাকায়। ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সাহলে প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, কুমিল্লা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন।’
দলীয়সূত্র জানায়, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম, মীর নাসির হোসেন, চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জয়নাল আবেদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কদ্দুস দুলু, ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল হক চন্দনও নিজ এলাকায় ঈদ পালন করবেন।
এ ছাড়া, অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, শ্রমিক দল, মহিলা দলের শীর্ষ নেতাদেরও নিজ নিজ এলাকায় ঈদ পালনের কথা রয়েছে।
এমপিদের ঈদ এলাকায়
শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির সংসদ সদস্যদের মধ্যে হারুনর রশীদ, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, মোশাররফ হোসেন, আমিনুল ইসলামের এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করার কথা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় নেতাদের যারা ঢাকায়
দলের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন বীর উত্তম, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর বিক্রম, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সাত্তার, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সালাম, ড. মামুন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুন নবী খান সোহেল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাসিরুদ্দিন অসীম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ আহমেদ উজ্জ্বল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন শ্যামল, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, উপ-অর্থ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বাবু, ইশরাক হোসেন, তাবিথ আউয়াল ঢাকায় ঈদ করবেন।
ঈদের পর চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তারের বগুড়ায় গ্রামের বাড়ি যাবার কথা রয়েছে।
কারাগার ও বিদেশে যারা
কারাগারে থাকায় সেখানেই ঈদ করবেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফজ্জামান বাবর ও ইসহাক সরকার।
এ ছাড়া, বেশ কয়েক বছর ধরে বিদেশে আছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান ড. ওসমান ফারুক, সাবেক এমপি কায়কোবাদ হোসেন ও চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন ফালু।
