X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

জাতিসংঘে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বাংলাদেশের রেজুলেশন গৃহীত

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৪ জুলাই ২০২১, ১২:৪৬আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, ১২:৪৬

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বাংলাদেশের উত্থাপিত একটি রেজুলেশন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ‘ফ্রেন্ডস অব ভিশনে’র পক্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক প্রথম রেজুলেশনটি সাধারণ পরিষদে শুক্রবার (২৩ জুলাই) উত্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

রেজুলেশনে প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্বের শিকার বিশ্বের ১.১ বিলিয়ন মানুষকে ২০৩০ সালের মধ্যে চক্ষু স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ করে দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নিরাময়ে সর্বসম্মতভাবে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হলো।

বিভিন্ন পর্যায়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতার শিকার বিশ্বের ২ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের চক্ষু স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে ব্যাপকভিত্তিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে জাতিসংঘে অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে দৃষ্টি বা ভিশন বিষয়ক এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস।

রেজুলেশনটি উত্থাপনের সময় বাংলাদেশের সাথে যোগ দেয় গ্রুপটির অপর দুই সহ-সভাপতি ‘এন্টিগুয়া ও বারবাডোস’ এবং আয়ারল্যান্ড। এতে সর্বমোট ১১৫টি দেশ সহপৃষ্ঠপোষকতা করে।

সাধারণ পরিষদে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “বিশ্বের ১.১ বিলিয়ন মানুষ প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নিয়ে বসবাস করছে।”

বৈশ্বিকভাবে পরিচালিত একটি জরিপের উদাহরণ টেনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা এবং অন্ধত্বজনিত কারণে মানুষের উৎপাদনশীলতা হারানোর ক্ষতির হিসেব অনুযায়ী সারাবিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হচ্ছে যা একটি বিশাল বৈশ্বিক আর্থিক বোঝা।

চক্ষু স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ শুধু শিক্ষা থেকে শিশুদের ঝরে পড়ার হার ৪৪% হ্রাস করে না বরং এটি বেতনভুক্ত চাকরি পাবার সুযোগ ১০% বাড়িয়ে দেয়। অন্ধত্বের ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতাও একটি ইস্যু, কারণ দেখা গেছে ৫৫% অন্ধ মানুষ মহিলা বা বালিকা; পুরুষদের তুলনায় তাদের অন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও ৮% বেশি।

যথাযথ চক্ষু স্বাস্থ্য সেবায় প্রবেশাধিকার নেই এমন মানুষগুলোর প্রায় ৯০ ভাগ বাস করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। ২০১৮ সালের এক হিসেব মতে বাংলাদেশে ৩০ ও তদূর্ধ্ব বয়সের অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার এবং ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের  চশমা পরিধান বা অন্য কোনও উপায়ে দৃষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে গৃহীত ‘ভিশন-২০২০’ শীর্ষক বৈশ্বিক পদক্ষেপ স্বাক্ষরকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

/এসএসজেড/এমএস/
সম্পর্কিত
দক্ষিণ সুদানে অপুষ্টির ঝুঁকিতে ৬০ হাজার শিশু: জাতিসংঘ
কক্সবাজারে নতুন আসা এক লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন, ক্যাম্পে জায়গা নেই
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ
সর্বশেষ খবর
নারীর স্বাধীন চলাফেরায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান
নারীর স্বাধীন চলাফেরায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান
রামপুরায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকের রহস্যজনক মৃত্যু
রামপুরায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকের রহস্যজনক মৃত্যু
সিন্ধু পানিচুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চাইলেন পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞরা
সিন্ধু পানিচুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চাইলেন পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞরা
লঞ্চে তরুণীদের মারধরের ঘটনায় মামলা, আসামি সেই যুবকসহ ২৫ জন
লঞ্চে তরুণীদের মারধরের ঘটনায় মামলা, আসামি সেই যুবকসহ ২৫ জন
সর্বাধিক পঠিত
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ