সিরিজ জিততে ১৯৪ রানের লক্ষ্যে শুরুটা স্বস্তিদায়ক ছিল না বাংলাদেশের। তৃতীয় ওভারেই হারায় ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের উইকেট। এর পর সাকিব ফিরলেও বাংলাদেশকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় দেখা যাচ্ছিল সৌম্য সরকারের মাঝে। মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে সেই পথেই এগুচ্ছিলেন। কিন্তু ক্যারিয়ার সেরা স্কোর করে আর থিতু হলেন না। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৫.৪ ওভারে ১৫০ রান। ক্রিজে আছেন মাহমুদউল্লাহ (২৪) ও শামীম (০)।
দুই ওপেনারে শুরুটা খারাপ ছিল না। সৌম্য সরকার কিছুটা মেরে খেলার চেষ্টায় ছিলেন। তৃতীয় ওভারে মুজারাবানির বলে নাঈম হাত খুলতে গিয়ে তালুবন্দি হন মিডঅফে। ৭ বলে নাঈম ফেরেন ৩ রান করে। এর পর সৌম্য-সাকিব মিলে পাওয়ার প্লেতে রানের চাকা সচল রেখেছেন।
ষষ্ঠ ওভারে ক্যাচ দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু কঠিন সুযোগ লুফে নিতে পারেননি মিড অনে থাকা সিকান্দার রাজা।
এর পর সাকিব মেরে খেলতে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। এই মেরে খেলতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন অষ্টম ওভারে। এই ওভারে লুক জংউইর বলে দুটি ছক্কা মারলেও চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন বদলি ফিল্ডার মুসাকান্দাকে। সাকিবের ১৩ বলের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও দুটি ছয়।
এর পর সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ মিলেই এগিয়ে নেন দলকে। সৌম্য ফিফটি তুলে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে পৌঁছানোর পরই ভেঙে যায় ৬৩ রানের এই জুটি। লুক জংউইর বলে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউটে ফেরেন ৬৮ রানে। তার ৪৯ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ১টি ছয়।
আফিফ নামার পর স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করতে সচেষ্ট ছিলেন। দুটি ছয়ও মারেন তিনি। ৫ বলে ১৪ রান করেই বোল্ড হয়ে ফিরেছেন মাসাকাদজার স্পিনে।
এর আগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিংয়ের ওপর ছঁড়ি ঘোরায় জিম্বাবুয়ে। তাতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটিও হয়ে উঠে জমজমাট। সিরিজ জিততে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় স্বাগতিকরা। টস জিতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে তারা সংগ্রহ করে ১৯৩!