ইরানে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে দুই সপ্তাহের লকডাউন কার্যকর করতে চেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সায়িদ নামাকি। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনিকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। রবিবার এই চিঠির খবর ফলাও করে প্রকাশ করেছে ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো।
আগামী ৫ আগস্ট শপথ নিতে যাচ্ছেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি দায়িত্ব নিলে দায়িত্ব হারাতে পারেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সায়িদ নামাকি। তবে তার আগেই লকডাউন কার্যকরে সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশনা চেয়েছেন তিনি।
আয়াতুল্লাহ খোমেনিকে লেখা চিঠিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘চাপ এতো বেশি যে, আমার আশঙ্কা এই পদক্ষেপও যথেষ্ট হবে না, যদি না আমরা দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসুস্থতা প্রতিহত করি।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান করোনাভাইরাস সংক্রমণের পঞ্চম ঢেউ চলছে। আর এবার আধিপত্য বিস্তার করছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ফলে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আরও বেশি বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সায়িদ নামাকি বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও দীর্ঘ সময় না ঘুমিয়ে আর চাপের কারণে আমার সহকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’ তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। গত সপ্তাহে ইরানের ৬৫টি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ফ্যাকাল্টির তরফ থেকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে চিঠি দিয়ে লকডাউন কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়।
ইরানের সরকারি হিসেব অনুযায়ী ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩৯ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন প্রায় ৯১ হাজার মানুষ। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা কবলিত দেশ বিবেচনা করা হয় ইরানকে।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে রবিবার দেশটিতে নতুন করে ৩৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে প্রায় ৩৮ শতাংশ।