র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গরুবাহী একটি ট্রাকের চালক হত্যা মামলার আসামি মো. কাজল (৪৮) ওরফে ধামা কাজল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাজল পেশাদার ডাকাত বলে দাবি করেছে র্যাব।
শনিবার র্যাব-৭-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. নাছির উল হাসান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কাজল গত কোরবানির ঈদে গরুবোঝাই ট্রাক চালক হত্যার সঙ্গে জড়িত।
কাজলের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় তিনি থাকতেন।
মেজর মো. নাছির উল হাসান খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, ডাকাতের একটি দল সলিমপুর এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে। সেখানে অভিযানে গেলে ডাকাতদল র্যাব সদস্যদের উদ্দেশে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে এক পর্যায়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। পরে সেখানে তল্লাশি করে একজনের মরদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা এসে লাশটি শনাক্ত করেন। তারা জানিয়েছেন, এটি কাজল বাহিনীর প্রধান মো. কাজলের মরদেহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাজল গরুবোঝাই ট্রাকচালক হত্যায় জড়িত। এ ঘটনায় ছায়া তদন্ত নেমে আমরা তিন জনকে গ্রেফতার করেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদে তারা কাজলের নাম বলেছে।’
গত ১৬ জুলাই ভোররাত ৪টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামী সংযোগ সড়কের ৪ নম্বর সেতুর কাছাকাছি স্থানে গরুবাহী একটি ট্রাকের চালক আবদুর রহমানকে (৫০) গুলি করে হত্যা করে ডাকাতরা। এ ঘটনায় ওইদিন আবদুর রহমানের শ্যালক আবদুল গনি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় র্যাব এবং পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে মো. তুহিন ও লিটন তালুকদার গত ২৫ জুলাই অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে রবিউল হোসেন নামের আরেক আসামি গত ২৩ জুলাই আদালতে জবানবন্দি দেন। আসামিদের জবানবন্দিতে উঠে আসে, ডাকাতির পরিকল্পনা করেন মো. নাদিম, তিনি এই ঘটনায় নেতৃত্বও দেন।