X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর

চৌধুরী আকবর হোসেন
২৪ আগস্ট ২০২১, ০১:১৭আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২১, ০১:১৭

দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সরাসরি ফ্লাইটে আসতে পারবেন কক্সবাজার বিমানবন্দরে। কারণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হবে বিমানবন্দরটি। আর এজন্য বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও শক্তি বৃদ্ধি, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ২৯ আগস্ট প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের বিমানবন্দরে পরিণত করতে নিজের পরিকল্পনার কথা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াতকে সহজ ও আরামদায়ক করতে বিমানবন্দরটি আধুনিকায়নের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হয়। ইতোমধ্যে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজার ফিট এবং প্রস্থ ১২০ ফিট থেকে ২০০ ফিটে উন্নীতকরণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে সম্প্রসারিত রানওয়েতে বিমানের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময়ই এই বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফিট থেকে ১২ হাজার ফিটে উন্নীতকরণের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনা মোতাবেক ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এজন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৩৭০৯৬০ দশমিক ৮৪ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফিট থেকে ১০৭০০ ফিটে উন্নীত হবে। এ ছাড়া প্রিসিশন এপ্রোচ ক্যাট-১ লাইটিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। ফলে উড়োজাহাজ পূর্ণ লোডে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে। যার কারণে বিমানবন্দরের ফ্লাইট সংখ্যার পাশাপাশি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

বেবিচক জানিয়েছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে কাজ দেওয়া হয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানকে। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদর দফতরে বেবিচক কর্তৃপক্ষ ও চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটারওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো (সিওয়াইডব্লিউইবি)- চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন (সিসিইসিসি)-জেভি’র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পটি গত ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন প্রদান করেন। ৫ হাজার ১ শ’ ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও শক্তি বৃদ্ধি, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ২৯ আগস্ট প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্প শেষ হলে কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হবে।

/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে: প্রধানমন্ত্রী
শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে: প্রধানমন্ত্রী
মসজিদে যাওয়ার পথে একদল কুকুরের আক্রমণে যুবকের মৃত্যু
মসজিদে যাওয়ার পথে একদল কুকুরের আক্রমণে যুবকের মৃত্যু
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মৃত্যু: অধিকতর প্রতিবেদনের নতুন তারিখ
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মৃত্যু: অধিকতর প্রতিবেদনের নতুন তারিখ
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক