কিউইদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবিয়েই প্রথম টি-টোয়েন্টি জেতে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকরা আগে ব্যাটিং নিলেও কিউই বোলিং সমস্যায় ফেলতে পারেনি। মিরপুরের স্লো পিচে ৬ উইকেটে ১৪১ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
তিন স্পিনার দিয়ে শুরুতে বাংলাদেশকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছিল নিউজিল্যান্ড। স্লো পিচ হওয়ায় তাতে সফল হওয়ার সুযোগও তৈরি হয়েছিল। ১.৩ ওভারে কোল ম্যাকনকির স্পিনে ক্যাচ দিয়েছিলেন লিটন। কিন্তু স্কয়ার লেগে থাকা কলিন ডি গ্র্যান্ড হোম বলটি হাতে জমাতে পারেননি। এরপর অবশ্য দেখে-শুনেই খেলতে থাকেন দুই ওপেনার। মিরপুরে যেখানে রান তোলাই কষ্টসাধ্য, সেখানে দুজনের কৌশলী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে আসে ৩৬ রান। শুধু কি তাই, তাতে ৮ ম্যাচ পর দেখা মেলে ৫০ প্লাস রানের জুটি।
ধীরে ধীরে হাতও খোলা শুরু করেছিলেন লিটন। আগ্রাসী হয়ে একটি ছক্কাও মেরেছেন। কিন্তু রাচিন রবীন্দ্রর দশম ওভারে অদ্ভুতভাবে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন এই ওপেনার।
তার আগে ৫৯ রানের ওপেনিং জুটি উপহার দিয়েছেন তিনি। ২৯ বলে লিটনের ইনিংসটি ছিল ৩৩ রানের। ৩টি চারের সঙ্গে ছিল একটি ছয়ের মার। লিটনের বিদায়ের পরেই হঠাৎ দেখা দেয় ছন্দপতন।
পরের বলে স্টাম্পড হয়ে ফিরেছেন মুশফিক। হঠাৎ চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছিলেন সাকিব। পরের ওভারে ম্যাকনকির বলে ক্যাচ উঠিয়ে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ততক্ষণে নামের পাশে লেখা হয়ে গেছে ৭ বলে ১২টি রান।
কিন্তু অভিজ্ঞরা ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে খেলেছেন নাঈম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। এ দুজনের আগ্রাসী হওয়ার সুবাদেই শতরান পার হয়েছে বাংলাদেশের। তবে ১৬তম ওভারে রবীন্দ্রর ঘূর্ণিতে বেশি আগ্রাসী হতে গিয়ে তালুবন্দি হয়েছেন নাঈম। ফেরার আগে ৩৯ বলে করেছেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান। রান তোলায় মনোযোগী ছিলেন নতুন নামা আফিফও। প্যাটেলের বলে তিনিও ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩ রানে।
শেষ দিকে যখন রান তোলাই কাঙ্ক্ষিত, তখন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়েই রান-চাকা ছুটেছে দ্রুতগতিতে। সঙ্গী ছিলেন নুরুল হাসান। তরুণ এই ব্যাটসম্যান শেষ বলে ১৩ রান করে ফেরায় ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহটা দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪১ রান। মাহমুদউল্লাহ ৩২ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার।
৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন বামহাতি স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র। একটি করে নিয়েছেন এজাজ প্যাটেল, কোল ম্যাকনকি ও হামিশ ব্যানেট।