মাদারীপুরে পৃথক তিনটি স্থানে বজ্রাঘাতে ৩ জন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ও বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার চরগোবিন্দপুর, চরকুলপদ্বী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাতে এলাকাবাসীদের কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
মৃতরা হলেন- খুলনার কয়রা উপজেলার কয়রা এলাকার মৃত মোবারক মোল্লার ছেলে কাজল মোল্লা (৪৫)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার চরগোবিন্দপুর এলাকার একটি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কালিগাঁও খাজড়া এলাকার মৃত ইমজিয়াজ মোড়লের ছেলে হাফিজ মোড়ল (৫৫)। তিনি সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের কুন্তিপাড়া এলাকায় ধানকাটার কাজে এসেছিলেন। অপরজন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সারিস্তাবাদ গ্রামের কালাম মোল্লার ছেলে ইমন মোল্লা (১৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৪টার দিকে মাদারীপুরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। একই সঙ্গে শুরু হয় ব্যাপক বজ্রাঘাত। ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে চরকুলপদ্বী এলাকার জেএসবি ইটভাটার কাঁচা ইট সংরক্ষণ করতে যান কাজল মোল্লা। এ সময় আকস্মিক বজ্রাঘাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে ইটভাটার অন্য শ্রমিকরা আহত কাজলকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে একই সময় কুন্তিপাড়া এলাকায় শাজাহান শেখের ফসলি জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রাঘাত হলে গুরতর আহত হন হাফিজ মোড়ল। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় হাফিজকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকেও কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া, এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সারিস্তাবাদ গ্রামে বজ্রাঘাতে নিহত হয় স্কুলছাত্র ইমন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, ‘বজ্রাঘাতে দুজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। দুজনই শ্রমিক। তারা অন্য জেলা থেকে এখানে কাজের জন্য এসেছিলেন। নিহত দুজনের স্বজনদের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। লাশ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’