X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

তিন দিনজুড়ে ‘পার্সোনাল সিনেমার স্বরূপ সন্ধান’

বিনোদন রিপোর্ট
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৪২আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:২৮

‘পার্সোনাল সিনেমার স্বরূপ সন্ধান: প্রাসঙ্গিকতা, সম্ভাবনা এবং সর্তকতা’—এমন বিষয়কে সামনে নিয়ে তিন দিনজুড়ে উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভাল (ডিআইএমএফএফ) কর্তৃপক্ষ।

অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য ও মর্যাদাপূর্ণ তিন জন বক্তা। পুরো অনুষ্ঠানটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরিচালিত হয় ২, ৪ ও ৬ সেপ্টেম্বর।

অনুষ্ঠানে মডারেটরের দায়িত্বে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-এর মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। 

প্রথম দিন, ২ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্র সমালোচক এবং লেখক মাহমুদুল হোসেন ব্যক্তিগত চলচ্চিত্র নির্মাণের আভিধানিক এবং ব্যবহারিক প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন। মাহমুদুল হোসেনের মতে, ‘ব্যক্তিগত চলচ্চিত্র নির্মাণে নির্মাতার নিজস্ব অর্থায়নই যথেষ্ট। গতানুগতিক ধারাকে ভেঙে ব্যক্তিগত চলচ্চিত্র নির্মাতারা নতুন ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণ করার সুযোগ পাচ্ছে এই ধারায়। কেননা ব্যক্তিগত চলচ্চিত্র আবেগ ও জীবনের অন্যান্য অনুভূতি প্রকাশের নতুন জানালা খুলে দিচ্ছে।’ 

পুরো আলোচনাজুড়ে জোনাস মেকাস, লিথুয়ানিয়ান-আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা, হুমায়রা বিলকিস ঢাকা-ভিত্তিক স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা অগ্নিস ভারদারের কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। 
 
দ্বিতীয় দিন, ৪ সেপ্টেম্বর স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা দেবাশীষ দাস নির্মাতাদের ব্যক্তিগত সিনেমা তৈরি কেন এবং কিভাবে অনুপ্রাণিত করে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, ‘ব্যক্তিগত চলচ্চিত্র নির্মাণ হোম ক্রাফট ভিডিও থেকে শুরু হতে পারে, যা কিনা পরবর্তীতে বর্তমান সিনেমার পরিস্থিতি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। ব্যক্তিগত সিনেমার আখ্যান শৈলী নিয়মিত সিনেমা থেকে আলাদা, কারণ এখানে একটা আলাদা আভা রয়েছে।’
 
বিশিষ্ট প্রামাণ্যকার ও শিক্ষক মানজারে হাসিন ছিলেন এই তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষদিনের বক্তা। ৬ সেপ্টেম্বরের এই আলোচনার শুরুতেই তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত সিনেমা হলো চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সিনেমা। ব্যক্তিগত সিনেমা সবচেয়ে মানবিক প্রকল্প।’ 

মানজারে হাসিন মনে করেন ব্যক্তিগত সিনেমা নিঃশর্ত ও সংকোচ ছাড়াই সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে আসছে।
 
তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রতিদিনই একটি প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে শেষ হয়। প্রতি সেশনই খুব প্রাণবন্ত ছিল, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রশ্ন উত্থাপন করেন এবং তাদের চিন্তাভাবনাগুলি খুব উৎসাহের সাথে তুলে ধরে ‘ব্যক্তিগত সিনেমা অন্বেষণে’।
 
তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের শেষদিনে, ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২-এর উপদেষ্টা এবং ইউল্যাব মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। যা যৌথভাবে তিনিসহ লিখেছেন ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক মানজারে হাসিন মুরাদ, মাহমুদুল হোসেন, চলচ্চিত্র সমালোচক ও লেখক দেবাশীষ দাস। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কাবিল খানের ধন্যবাদসূচক বার্তার মাধ্যমে।

/এমএম/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
‘জংলি’ মিশনে সিয়ামের সঙ্গী বুবলী
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা ফাতেহি!
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
শিল্পকলায় মঞ্চায়িত হলো আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ‘হি-রোজ’
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…