বলিউডের অন্যতম সম্ভাবনাময় অভিনেতা ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। কিন্তু ২০২০ সালে এই অভিনেতার অকাল মৃত্যুতে তার ভক্তরা শোকে স্তব্ধ হয়ে যায়। অনেকেই বলে থাকেন, এটা আত্মহত্যা নয়, হত্যা। অনেকে বলেন, তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। যদিও শেষপর্যন্ত আদালতের রায় আসে, এই অভিনেতা আত্মহত্যা করেছেন।
এবার বলিউডের কণ্ঠশিল্পী আমাল মালিক করলেন আরেক বিস্ফোরক মন্তব্য। তার মতে, বলি ইন্ডাস্ট্রির কিছু বড় প্রযোজক কার্তিক আরিয়ানকে, সুশান্তের মতো একপেশে করে রাখার চেষ্টা করছেন। এমনকি, কার্তিককে প্রয়াত সুশান্তের মতো কোণঠাসা হওয়ার পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্প্রতি এক আলাপচারিতায় আমাল কথা বলেছেন আরও নানা বিষয় নিয়ে। বলি ইন্ডাস্ট্রির বড় বড় নামগুলি কীভাবে এখানে প্রভাব বিস্তার করে, সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন তিনি।
কার্তিকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলে, ‘কার্তিককে বলিউড থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এরইমধ্যে উঠেপড়ে লেগেছে বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা ও প্রযোজকেরা।’
এরপর তিনি বলেন, ‘এই জগতের আসল রূপ মানুষের কাছে এখন অনেকটাই পরিষ্কার। এটা এতই অন্ধকার, এক জন মানুষের জীবনটাই থাকল না। সুশান্ত সিংহ রাজপুত এই অন্ধকার জগৎটাকে সামাল দিয়ে উঠতে পারেননি। কেউ বলে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন, কেউ বলে তাকে খুন করা হয়েছে। যেটাই হোক, মানুষটা তো চলে গেলেন!’
সুশান্তের প্রসঙ্গে আমাল আরও বলেন, ‘এই জগতের জন্যই ওর মনে প্রভাব পড়েছিল। কিছু লোকজন ওর মনোবল ভেঙে দিয়েছিল নিশ্চয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে বলিউডের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আবেগ অনেকটাই চলে গিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভালো মানুষের সঙ্গে খুব খারাপ হলো। ওই একই জিনিস কিন্তু পরোক্ষভাবে কার্তিকের সঙ্গে করার চেষ্টা করছে লোকজন। কার্তিকও কিন্তু অনেক সমস্যা পেরিয়ে, হাসিমুখে লড়াই করে এই জায়গায় এসেছেন।’
কার্তিকের সম্পর্কে আমাল আরও বলেন, ‘কার্তিকও বাইরে থেকে এসে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। বহু সফল ছবি রয়েছে তার। তাই তাকেও তাড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে অনেকে। সবই ক্ষমতার লড়াই। বড় বড় প্রযোজক-অভিনেতারাই এই সব করে। আসলে সুশান্তের মতো কার্তিককেও সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
বলা প্রয়োজন, ২০২০ সালের ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল মৃত্যুতে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি হতবাক হয়ে যায়। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৪। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ফাঁসিতে ঝুলে শ্বাসরোধের কারণে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। কোনও অপরাধের লক্ষণ দেখা যায়নি।
তবে তার আকস্মিক এই মৃত্যু বলিউডের অন্ধকার দিক এবং এর সাথে আসা মানসিক চাপ নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দেয়। স্বজনপ্রীতি বিতর্ক সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল।
সূত্র: এনডিটিভি