X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

শহীদুল জহিরের ঘর

শাহাদুজ্জামান
১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:২১আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:২৬

আগামীকাল শহীদুল জহিরের [১১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩–২৩ মার্চ ২০০৮] জন্মদিন। বাংলা সাহিত্যে জাদুবাস্তবতা চর্চার জন্য তিনি সুপরিচিত। তিনি চারটি উপন্যাস এবং তিনটি গল্প সংকলন প্রকাশ করেছেন। উপন্যাস : আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু, জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, সে রাতে পূর্ণিমা ছিল এবং মুখের দিকে দেখি। গল্পগ্রন্থ : পারাপার, ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প এবং ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি আলাওল সাহিত্য পুরস্কার এবং কাগজ সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। তার গল্প ও উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে একাধিক চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং মঞ্চনাটক।


বেঁচে থাকলে হয়তো শহীদুল জহির ইতিমধ্যে লিখে ফেলতেন, ‘ভূতের গলিতে করোনা নেমে আসে। আমরা মহল্লার লোকেরা করোনা নিয়ে কথা বলি। আমার বলি ‘করোনা হালায় যায় না ক্যালা?’ কিম্বা হয়তো তিনি তা লিখতেন না। তিনি বরং দক্ষিণ মৈশুন্দির বানর নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।
        শহীদুল জহির এবং তার ঘরটার কথা মনে পড়ে প্রায়ই, যেখানে তার সঙ্গে প্রথম দেখা, গ্রিন রোড গেজেটেড অফিসার্স ব্যাচেলর হোস্টেল। তিনি ব্যাচেলর ছিলেন, তখন এবং আজীবন। আর গেজেটেড অফিসার তো ছিলেনই। বেশ উঁচু পদেই। হয়তো তিনি তখন যুগ্ন সচিব। ঘরের ভেতর একটা চৌকি, পাতলা তোশক, একপাশে একটা পুরনো কায়দার কাঠের আলনা, একটা বেতের বুকশেল্ফ, টেবিল আর চেয়ার একপাশে। দুটো বেতের ইজিচেয়ার। তার একটিতে আমি বসেছিলাম, অন্যটিতে তিনি। এই তার আসবাব। মেসে থাকা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রের ঘর নয় এটি। একজন যুগ্ম মহাসচিবের ঘর। দুরুমের ফ্ল্যাটটির অন্য রুম খালি। ঘরটা বেশ অন্ধকারাচ্ছন্নই ছিল মনে আছে। জানালার পর্দাটা তিনি সরাননি। দড়ির দুকোনায় রাতের মশারি তখনও বাঁধা। 
        আমার মনে হয়েছিলে রাসকলনিকভের চিলেকোঠার ঘরটা বুঝি এমনই ছিলো। দস্তয়ভক্সির ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’-এর রাসকলনিকভ। যার বাড়িওয়ালি তাকে বলে, ‘এই ছেলে সারা দিন তুমি কি কর ঘরে বসে? কাজ করতে পার না?’ রাসকলনিকভ উত্তর দেয়, ‘আমি সারা দিন চিন্তা করি। ওটাই আমার কাজ।’ শহীদুল জহির যখন বেইলি রোডের সরকারি কলোনিতে গেলেন, তখনও তার ফ্ল্যাটটিতে যাই। এবং সেখানেও ঐ একই ঘরের নকল দেখি। সেই বেতের চেয়ার, প্রায়ান্ধকার, সেই দড়িতে ঝোলানো মশারি। রাসকলনিকভের ঘর যেন। যখন অফিসে থাকেন তখন তিনি শহীদুল হক। আর ঘরে ফিরলেই তিনি শহীদুল জহির। তখন তিন আর কিছু করেন না, শুধু চিন্তা করেন আর লেখেন। 
        মনে আছে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ির পাশে কালী মন্দির পুকুরপাড়ে বসে আমি পড়েছিলাম : ‘উনিশ শ পঁচাশি সনে একদিন লক্ষ্মীবাজারে শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী লেনের যুবক আবদুল মজিদের পায়ের স্যান্ডেল পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি বিধানে ব্যর্থ হয়ে ফট করে ছিঁড়ে যায়। আসলে বস্তুর প্রাণতত্ত্ব যদি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতো, তাহলে হয়তো বলা যেত যে, তার ডান পায়ে স্পঞ্জের স্যান্ডেলের ফিতে বস্তুর ব্যর্থতার জন্য নয়, বরং প্রাণের অন্তর্গত সেই কারণে ছিন্ন হয়, যে কারণে এর একটু পর আবদুল মজিদের অস্তিত্ব পুনর্বার ভেঙে পড়তে চায়।’
        কালী মন্দির পুকুরপাড়ে একটা জাম্বুরা গাছ ছিল মনে আছে। জাম্বুরার ঘ্রাণের প্রেক্ষাপটে ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা ‘বইটার এই বিচিত্র লাইনগুলোর সাথে আমার পরিচয় ঘটে। আমি তখন ব্র্যাকের গ্রামীণ স্বাস্থ্য প্রকল্পে ডাক্তার হিসেবে মুক্তাগাছায় কাজ করি। লাইনগুলো পড়ে কিছুক্ষণ থমকে পুকুরের পানিতে তাকিয়েছিলাম। সেখানে একটা একাকী ফড়িং। তারপর আবার বইয়ের পৃষ্ঠায় মনোযোগ দিয়েছিলাম। এবং সেই মুক্তাগাছার পুকুরপাড়ে, ফড়িং আর জাম্বুরার অনুষঙ্গে এই বইয়ের লেখক শহীদুল জহিরের সাথে আমার একটা গোপন বৈঠক হয়েছিলো। যদিও তখনও তার সঙ্গে আমার কোনো সাক্ষাৎ বৈঠক হয়নি। তবু পাঠকের সাথে লেখকের এমন গোপন বৈঠক হয়। 
বইটা আমাকে দিয়েছিলেন ইলিয়াস ভাই। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। বাজে বাঁধাই আর বিচিত্র প্রচ্ছদের বই। সাদা মলাটে মাঝখানে লাল দিয়ে গোল করে আপেলের মতো কিছু একটা আঁকা। উদ্ভট নাম। প্রবন্ধের বই না ইতিহাস বোঝা যায় না। পরে অবশ্য বইটির পরিমার্জিত সংস্করণ বেরিয়েছে। মুক্তাগাছা থেকে ছুটিতে ঢাকা এসে ইলিয়াস ভাইয়ের টিকাটুলির বাড়িতে আড্ডা দিয়ে ফেরার পথে বইটার সেই প্রথম সংস্করণ হাতে নিয়ে ফিরি। তারপর কালিমন্দিরের পুকুরপাড়ে খুলি। সেখানে তার সঙ্গে অশরীরী গোপন বৈঠকের পর আমার ইচ্ছা জাগে তার সঙ্গে সশরীরী বৈঠকের। ইচ্ছা জাগে কারণ বাংলাদেশের লেখালেখির মানচিত্রের যে ধারণা আছে তাকে সেই মানচিত্রে ফেলতে পারি না। তাকে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বলে মনে হয়। সে দ্বীপে পা রাখতে ইচ্ছা হয়। ইতিমধ্যে আমিও লিখতে শুরু করেছি। মাঠে এক শক্ত খেলোয়াড়কে দেখতে পাই। মনে হয় এ খেলোয়াড়ের মুখোমুখি হওয়া দরকার। 
        ‘হাজি আব্দুল রশিদের পেটে মোচড় দিলে তিনি বিছানায় শুয়ে পড়েন এবং ভাবেন, আম কত রকমের হয় কিন্তু তরমুজ কেবল এক রকম হয় কেন, সেই সময় অন্ধকার ঘরের ভেতর শুয়ে তিনি বুঝতে পারেন যে, তার ছেলে আবদুল জলিলের জন্য একটি লেদ মেশিন বসানো দরকার, এবং এভাবে আমরা তখন মহল্লার একমাত্র কবি, একমাত্র প্রেমিক, একমাত্র ঘর পলাতক নারী এবং একমাত্র আত্মহত্যার ঘটনার কথা স্মরণ করতে পারি, তরমুজের বিচি খেয়ে ফেলার পর পেটে যে ব্যথা হয়, সেই ব্যথার ভেতর হাজি আবদুল রশিদের অন্তদৃষ্টি উন্মোচিত হয় এবং তিনি মহল্লায় লেদ মেশিনের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা বুঝতে পারেন…’
        একটা মহল্লার কুটির শিল্পের ইতিহাস শহীদুল লিখেছিলেন টানা লম্বা এই গল্পে কোনো পূর্ণচ্ছেদ চিহ্ন না দিয়ে শুধু কমার পর কমা দিয়ে। এমন ঘটনা বাংলা সাহিত্যে ঘটেছিলো কমলকুমার মজুমদারের লেখা ‘সুহাসীনির পমেটম’ উপন্যাসের বেলায়। পড়েছি লেটার প্রেসে কমলকুমারের সেই উপন্যাস কম্পোজ করতে সে প্রেসের সব কমা ফুরিয়ে গিয়েছিল। শহীদুল গল্পটা কমা দিয়ে শেষ করেছিলেন কিন্তু প্রকাশক তার কথা না শুনে গল্পটা দাড়ি দিয়েই শেষ করেছিলেন। সেই কমার দুঃখে সেই একই গল্প শহীদুল আরেকটি বইয়ে ছাপিয়েছিলেন কমা দিয়ে শেষ করে। একটি কমার দুঃখে দুঃখী এই লেখককে মনে পড়ে। 
বিষয় এবং প্রকরণ, চিন্তা এবং ভাষার এক ঘোর লাগা পৃথিবীর অভিবাসী ছিলেন শহীদুল। ছিলেন সব অর্থে মগ্ন এক লেখক। তার ‘ডলু নদীর হাওয়া’ ছাপা হয়েছিলো মাওলা ব্রাদার্স থেকে। মওলা বাদার্সের একজন কর্মী আমাকে বলেছিলেন বইটির ফাইনাল প্রুফ তিনি দেখতে এসেছিলেন তাদের অফিসে। শহীদুলকে তারা পাণ্ডুলিপিটা দিলেন প্রুফ দেখে দিতে। তারপর শহীদুল টানা পাঁচ/ছয় ঘণ্টা পাণ্ডুলিপিটার প্রুফ দেখেছেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। এর মাঝে কারো সাথে একটা কথাও বলেননি, চা-সিঙ্গারা খাননি, মাথাটা একবারের জন্যও পাণ্ডুলিপির থেকে ওঠাননি। সেই কর্মী বলছিলেন—‘কত লেখকই তো দেখলাম, এইরকম লেখক আমি দেখি নাই, সকালে এসে বসলেন, পাঁচ ছয় ঘণ্টা ঐ টেবিলে, একটা কথা উনি আমাদের সাথে বলেন নাই, এত লম্বা সময়ে মানুষ তো একবার টয়লেটেও যায়। উনি তাও যান নাই।’ এমন লেখক তার দেখবার কথা নয়। কারণ এমন লেখক বিশেষ নাই। 
        শহীদুল কদাচিৎ কোনো সাহিত্য অনুষ্ঠানে গেছেন। খুব ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষের সঙ্গ ছাড়া তিনি এড়িয়ে চলতেন সমাগম। একবার বলেছিলেন সাহিত্যিকদের আড্ডায় আমি যাই না। একসময় যেতাম। কিন্তু সেখান থেকে ঘরে ফেরার পর মনে হতো সারা গায়ে আঁচরের দাগ। এই ‘আঁচড়‘ তিনি প্রতিকী অর্থেই বলেছিলেন। লেখকদের পরস্পরের প্রতি ঈর্ষা, প্রতিহিংসার আঁচড়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। তবে একটি বিশেষ আড্ডায় তাকে আমি দেখেছি একাধিকবার। ৯০ দশকে ‘নিরন্তর‘ নামে রুচিশীল সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন নাঈম হাসান। রাজশাহী থেকে হাসান আজিজুল হক এলে নাঈম হাসান তার মোহাম্মদপুরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানাতেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শাহীদুল জহির, ওয়াসি আহমেদ, আমাকে। তুমুল আড্ডা হতো যা শেষ হতো চমৎকার খাওয়া দাওয়ায়। নাঈম হাসানের বাড়ির সেই আড্ডায় দেখা হতো শহীদুল জহিরের সঙ্গে। সেসব আড্ডায় যোগ দিলেও এবং পুরো সময় থাকলেও তিনি কথা বলতেন খুব কম। শ্রোতাই থাকতেন মূলত পুরোটা সময়। তবে সাধারণভাবে সাহিত্যিক পরিমণ্ডল এড়িয়ে চলতেন তিনি। এমনকি পাঠকদের সংস্পর্শও এড়িয়ে চলতেন। আমার মনে আছে তার গ্রিন রোডের কোয়ার্টারে একদিন গল্প করছি তার সঙ্গে তখন দুজন তরুণ তাকে এসে জানালো যে আজ সন্ধ্যায় তার ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’ বইটি নিয়ে তারা আলোচনা করবেন, তারা তাকে সেখানে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করলেন। শহীদুল অপারগতা জানালেন। তারা চলে গেলে জানতে চাইলাম তার অন্য কোনো প্রোগ্রাম আছে কি না আজ? শহীদুল জানালেন আজ তিনি টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখবেন, ভালো একটা ম্যাচ আছে। সেই সঙ্গে বললেন, পাঠকদের কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো। একবার তার সঙ্গে বইমেলায় ঘুরছিলাম। একটি প্রকাশনা থেকে তার বই বেরিয়েছে সদ্য, তিনি সে বইয়ের কপি হাতে পাননি। স্টলে গিয়ে কর্মীদের কাছে বইটির পাঁচটি কপি চাইলেন, বললেন তিনি বইটির লেখক। কর্মী তাকে তিনটি বই দিয়ে বাকি বই দেয়ার অপারগতা জানালেন, বললেন, তাদের সরবরাহ কমতি আছে। যুগ্ম সচিব শহীদুল তার পদমর্যাদার দেমাগ দেখিয়ে প্রাপ্য বই আদায় করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করলেন না, সম্মান দেখালেন স্টল কর্মীর মতকে। 
        একেকজন লেখক, সাহিত্য পৃথিবীতে একেক ধরনের ‘অ্যাটিচুড’ নিয়ে অবস্থান করেন। শহীদুল একটা নিভৃতি, আড়ালের অবস্থানকে নির্বাচন করেছিলেন। কাছ থেকে দেখেছি পেশাগত পৃথিবীতে ক্ষমতাবান ছিলেন তিনি কিন্তু যখন সাহিত্য পৃথিবীতে পা রাখতেন তখন নিজেকে বিবেচনা করতেন সাহিত্য পরম্পরায় নাজুক এক পরিব্রাজক হিসেবে। প্রকাশনা উৎসবের আড়ম্বর, প্রতিষ্ঠিত লেখকদের সনদপত্র সংগ্রহ ইতাদি চর্চার বাইরে লেখায় আকণ্ঠ ডুবে থাকার ভেতর দিয়েই সাহিত্য পৃথিবীর অধিবাসী হবেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শহীদুল। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আত্মপ্রচারের কোনো কাঙালিপনা তিনি করবেন না। একটা নিমজ্জিত জীবন যাপন করবেন। তিনি ‘সোসাল মিডিয়ার’ উত্থানের এই সময়ের আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন। নিজেকে আড়াল রাখার অসম্ভব এই সময়ে বেঁচে না থেকে হয়তো বেঁচেই গেছেন শহীদুল। এই সীমাহীন আত্মকুন্ডয়ন, আত্মপ্রচারের এই উৎসবে কুণ্ঠিত শহীদুল হয়তো আরো ভেতর গুটিয়ে যেতেন। 
        তবে অক্ষর সাজিয়ে জীবনের পর্দাগুলো একটু একটু সরিয়ে দেখার, দেখানোর প্রয়াস তার ম্লান হতো বলে মনে করি না। তিনি জানতেন যত আড়ম্বরই চলুক সৎ সাহিত্যের নৌকা ছোট, সেখানে জায়গা হয় না সকলের। অনেকটা পথ সাঁতরে সে নৌকায় উঠতে হয়। স্রোত ঠেলে সৎ পাঠক খুঁজে নেন সৎ লেখককে। নানা চোরা স্রোতে কি করে যেন গোপন বৈঠক হয়ে যায় সৎ পাঠক, সৎ লেখকের। তার মৃত্যুর এক যুগ পরে শহীদুলের লেখা প্রথম পড়েন তামিল বংশদ্ভুত বাঙালি স্বনামধন্য অনুবাদক রামাস্বামী। তিনি আমাকে বলছিলেন, ‘শহীদুলে লেখা পড়ে হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো মনে হয়েছে কি আশ্চর্য গুপ্তধন লুকিয়ে আছে পৃথিবীর পাঠকের আড়ালে। আমি গোগ্রাসে গিলেছি তার প্রতিটি লেখাকে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি পৃথিবীর কাছে তুলে ধরব এই আশ্চর্য সম্পদ।’ রামাস্বামী বুঁদ হয়ে অনুবাদ করেছেন শহীদুল জহিরের উপন্যাসসমূহ যা এবছর প্রকাশিত হচ্ছে বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা হারপার এ্যান্ড কলিন্স থেকে। রামাস্বামী আমাকে বলছিলেন ‘বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরের উৎযাপনে পৃথিবীর কাছে এই আমার উপহার।’ 
        নিজেকে অবিরাম হাজির রাখার কসরৎ প্রয়োজন পড়ে না অনেক লেখকের। তার লেখার গুনে তার উপস্থিতি উপেক্ষা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। লেখকের অহংকার তার লেখার ভেতরই সুপ্ত থাকে। দেখেছি অহংকার শহীদুলেরও ছিলো। কিন্তু সেটা মহারাজার কোমরে ঝোলানো খাপে ভরা তলোয়ারের মতো। সে তলোয়ার নাকের ডগায় নাচাবার জন্য নয়। সে তলোয়ার অদৃশ্য কিন্তু উপেক্ষা করার উপায় নাই। 

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে পোলিশ নাগরিক গ্রেফতার
জেলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে পোলিশ নাগরিক গ্রেফতার
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ