X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

তালেবানের সামনে কাবুলের মানুষের মন জয় করার গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ

বিদেশ ডেস্ক
১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫৮আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৫২

বিশ বছর ধরে লড়াইয়ের পর তালেবানরা বিশ্বের কাছে নিজেদের বন্ধুত্বপূর্ণ মুখ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের নিজেদের দেশেই এখন একটি সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে: রাজধানী থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষের মন জয় করা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

১৫ আগস্ট কাবুলে প্রবেশের পর থেকেই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সদস্যরা যুদ্ধের পোশাক পরে সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছে। প্রায়ই তাদের মধ্যে কোনও চেইন অব কমান্ড দেখা যায় না। কাবুলের অনেক বাসিন্দারা এমন দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত না। কঠোর হাতে নিরাপত্তা রক্ষার কৌশলও কোনও কাজে আসছে না।

তালেবানের প্রথম শাসনামলে কাবুলের একজন শিক্ষক আহমদ ছিলেন একজন ছোট শিশু। রাস্তায় যোদ্ধাদের দেখার প্রাথমিক ধাক্কাটা তিনি সামলে নিয়েছেন। শহুরে এই বাসিন্দার মতে, কাবুলের মানুষ তালেবান যোদ্ধাদের ঘৃণা করে। তারা এসেছে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। দেখতে বন্য, নোংরা, লম্বা চুল ও নোংরা পোশাকের অশিক্ষিত সব যোদ্ধা। তাদের কোনও ভদ্রতাবোধ নেই।

তালেবান নেতারা বলছেন, কাবুলবাসীদের নিরাপদ বোধ করা উচিত। কিন্তু তারা স্বীকার করছেন পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের এতদ্রুত পতনের ফলে ৫০ লাখ মানুষের শহর কাবুল পরিচালনার জন্য পরিকল্পনার কোনও সময় পাননি। তারা আরও স্বীকার করেছে, তাদের বেশিরভাগ সদস্য যুদ্ধ করতে অভ্যস্ত বছরের পর বছর ধরে। জনগণকে নিয়ন্ত্রণে পুলিশের প্রশিক্ষণ তাদের নেই।

কাবুলের পুলিশ জেলা ৬ অঞ্চলে তালেবান পেট্রোল কমান্ডার সৈয়দ রহমান হায়দারি বলেন, কোনও এলাকায় সমস্যা হলো আমাদের জানাতে বলা হয়েছে জনগণকে। আমরা সব জায়গায় আমাদের নম্বর দিয়েছি। ঘটনার সময় আমাদের জানান শুধু। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নেব এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করব।

আগের শাসনামলে তালেবানের ধর্মীয় পুলিশ নিয়ম ভাঙার অপরাধে প্রকাশ্যে মানুষদের মারধর করত। এবার বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ দমনে বন্দুকধারীরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। মানুষকে আটক, রাইফেলের বাট, রড ও পাইপ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তালেবান নেতারা এসব ঘটনা তদন্তের অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ নিষিদ্ধও করেছে তারা।   

তালেবান কমান্ডার হায়দারি বলেন, মানুষের মনে কোনও ভয় থাকা উচিত না। আমরা তাদের সেবায় রয়েছি দিনে ও রাতে। 

তবে এই বার্তা অনেকেই বিশ্বাস করতে রাজি না।

একটি মিডিয়া গোষ্ঠীটিতে কাজ করা ২২ বছর বয়সের আয়েশা জানান, তালেবান যোদ্ধাদের অনেক নারীদের পেটাতে তিনি দেখেছেন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া তিনি বাড়ির বাইরে বের হন না।

তার ভাষায়, তালেবান যোদ্ধারা বিপজ্জনক মানুষ। তারা নারীদের পেটায় এবং অপমান করে। তাদের নেতারা কী বলছেন তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তারা একেবারে বন্য।

/এএ/
সম্পর্কিত
দালাই লামার উত্তরসূরি, চীন-ভারত সংঘাত আর একটি সোনার কৌটো
ভারতে চালু হতে চলেছে মোবাইল ভোটিং 
এক সপ্তাহে দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পেলো থাইল্যান্ড
সর্বশেষ খবর
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
পাবনায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
পাবনায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
জাপার অফিস ভাঙচুর: নুরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বললেন আদালত
জাপার অফিস ভাঙচুর: নুরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বললেন আদালত
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে রয়েছে বিশ্বকাপে খেলার হাতছানিও!
বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে রয়েছে বিশ্বকাপে খেলার হাতছানিও!