হত্যাকাণ্ডের শিকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী জুয়েলের গায়ে থাকা গেঞ্জিতে লেখা ‘সাফল্যের পথে একসাথে’র সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
মূলত টাকার জন্যই পরিকল্পনা মোতাবেক জুয়েলকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর মিরপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার এএসএম মাহাতাব উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
এএসএম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, পৃথক দুটি প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারি ম্যান জুয়েল ও মিরাজ দুই বন্ধু। মিরাজের টাকার প্রয়োজন, সেই লোভে বন্ধু জুয়েলের ডেলিভারির টাকা আত্মসাতের ফাঁদ পাতে সে। মিরাজ জানতো প্রতিদিন জুয়েলের কাছে ডেলিভারির প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা থাকতো। সেই টাকার জন্যই মূলত হত্যা করা হয় তাকে। মিরাজ নিজে এ ঘটনা ঘটাতে সাহস না পাওয়ায় সাইফুল সোহাগ ও রাসেলকে সঙ্গে নেয়। একপর্যায়ে জুয়েলের সঙ্গে তিন আসামি মিলে তাদেরই প্রতিষ্ঠানের কাভার্ডভ্যানে উঠায়। একপর্যায়ে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ধস্তাধস্তি শুরু করলে তাদের সঙ্গে থাকা রশি দিয়ে পরিকল্পনা মোতাবেক হত্যা করে। পরে হত্যা নিশ্চিত করার পর লাশের পরিচয় যেন শনাক্ত না হয় সেজন্য ড্রামে ভরে মিরপুরের একটি জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মূলত জুয়েলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া টাকা যেন ফেরত না দিতে হয় সে জন্য তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর আসামিরা মিরপুরের দুই নম্বর সেকশনের লাভ রোডের হাউজিংয়ে স্টেটের সরকারি অফিসের বিপরীত লাশ পাশে রেখে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে লাশ উদ্ধারের পর কোনও ক্লু পাচ্ছিলো না পুলিশ। মূলত পরনের গেঞ্জিতে থাকা একটি লেখার ভিত্তিতেই হত্যাকাণ্ডের শিকার জুয়েলের পরিচয় নিশ্চিত করা পুলিশ। পরে তদন্তের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।