ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমকে জামিন দিয়েছেন বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক জামিন মঞ্জুর করেন। ২০১৮ একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছিল।
জামিন পেয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশকে লুটপাট করতে ক্ষমতায় এসেছে। এই লুটপাটের খবর যাতে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তাই সাংবাদিকদের হেনস্তা করতে সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা যাতে ভয় পায়, তারা যেন সত্য তুলে আনার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হয় এ জন্য দমন নীতি চালানো হচ্ছে। অথচ নিজেদের সম্পদের হিসাব এখনও তারা দেয়নি।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, বরিশাল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার বাবুলসহ অন্যান্যরা।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদের আইনজীবী কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, ‘রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের বক্তব্য শুনে এবং বয়সের বিবেচনায় বিচারক তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।’
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভোলার লালমোহন থানার বদরপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল হক বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছিলেন। মামলার ২ নম্বর আসামি একই এলাকার বাবুল হাওলাদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মেজর হাফিজ। ওই ফোনালাপে সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুলের বিষয়ে আলাপ করেছিলেন তারা। বিষয়টি পরে গণমাধ্যমে প্রচার হয়। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ফরিদুল হক মামলা দায়ের করেন।