অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণের কল্যাণ বয়ে আনে। তাই তথ্য অধিকার দিবসের অঙ্গিকার হোক তথ্য অধিকার আইনের যথাযথ প্রয়োগ। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে মানববন্ধন ও আয়োজিত সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক ও দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট আয়োজিত আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসের মানববন্ধন ও সমাবেশে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের চিহ্নিত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার আহ্বান জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস। ২০১৫ সালে ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৬ সাল থেকে দিবসটি বাংলাদেশে উদযাপিত হয়ে আসছে।
সমাবেশে জানানো হয়, দেশে সাধারণত রাষ্ট্র নাগরিকদের ওপর বিভিন্ন ধরনের আইন প্রয়োগ হয়ে থাকে। কিন্তু ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’ একমাত্র আইন, যা নাগরিকরা প্রয়োগ করতে পারেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর। আর এই আইন যথাযথভাবে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই আইন যত বেশি প্রয়োগ হবে, রাষ্ট্র ও সমাজে তত বেশি সুশাসন প্রতিষ্ঠার ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
তথ্য অধিকার আইনকে যুগান্তকারী উল্লেখ করে সমাবেশে আরও বলা হয়, সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাজে স্বচ্ছতা আনা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি কমানো ও সর্বোপরি রাষ্ট্রের সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব নয়।
সমাবেশে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সুজনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতি অ্যাডভোকেট রাশিদা আক্তার শেলী, ঢাকা মহানগর সুজনের সম্পাদক মো. জুবায়েরুল হক নাহিদ, ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি ক্যামেলিয়া চৌধুরী, ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, ঢাকা মহানগর কমিটির দফতর সম্পাদক মুসতারী বেগম সুজন, নিউ মার্কেট শাখার সম্পাদক এন আই খান মামুন, সুজন মহানগরের অন্যতম নেতা সি এম শাকিল রেহমান, মো. রুস্তম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মো. মাহবুবুল হোক প্রমুখ।