সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদসহ অপশক্তির পুনরুত্থান রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক জনকল্যাণমূলক প্রচারের ক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বিকল্প নেই, আবার জঙ্গিবাদী বিভিন্ন অপরাধের বিস্তার ঘটছে এসব প্ল্যাটফর্মেই। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি। মন্ত্রী এই চ্যালেঞ্জ সম্মিলিত উদ্যোগে মোকাবিলা করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তালেবানের পুনরুত্থান: তরুণ সমাজের করণীয়’ শীর্ষক একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইটি সেল’র উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নির্মূল কমিটির আইটি সেলের সভাপতি শহীদ সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল, কলামিস্ট লীনা পারভীন, নির্মূল কমিটির বহুভাষিক সাময়িকী ‘জাগরণ’র যুগ্ম সম্পাদক মারুফ রসুল, নির্মূল কমিটির নিউইয়র্ক শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আজম খান, নির্মূল কমিটির বগুড়া জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, নির্মূল কমিটির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মর্তুজা, কলকাতার আইনজীবী সালমান আখতার,‘জাগরণ’র হিন্দি বিভাগীয় সম্পাদক সমাজকর্মী তাপস দাস প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
নির্মূল কমিটির জঙ্গি ও মৌলবাদবিরোধী আলোচনার বিষয়গুলো অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রায় শতাধিক আইডি আমরা শনাক্ত করেছি, যেগুলো বিদেশ থেকে পরিচালিত হয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের অবস্থান পরিচয়সহ বিস্তারিত আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দিয়েছি। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকেও পাঠিয়েছি। তারা বিভিন্ন দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জঘন্য অপপ্রচারে লিপ্ত। আমরা নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছি, এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য।
প্রতিবেশী একটি দেশে মৌলবাদী শক্তির উত্থান একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘পাকিস্তান অনবরত জঙ্গি রফতানি করে আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’