সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রহমত আলী হত্যা মামলায় ভাইসহ দুই ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি উত্তরপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলাম (৪৭), তার ছেলে মো. হাসমতুল্লাহ (৩০) ও মো. হাসান আলী।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ও রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুর রহমান এ তথ্য জানান। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালন করেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম শেখ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ থানার মহিষলুটি উত্তরপাড়া গ্রামের রহমত আলীর সঙ্গে তার ভাই নূরুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৪ মার্চ শুক্রবার নিজ বাড়িতে রহমতর সঙ্গে নূরুলের পরিবারের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম, তার ছেলে হাসমতুল্লাহ ও হাসান ধারালো অস্ত্র দিয়ে রহমত আলীকে আঘাত করেন। এতে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রহমতের স্ত্রী মোছা. মনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় নুরুল, হাসমতুল্লাহ, হাসান ও মাজেদা খাতুনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক। আর মাজেদা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাাণিত না হওয়ায় খালাস দেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।