বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট বায়ুচাপের ফলে বরিশালে বিরামহীন বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। এ কারণে জরুরি কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ সড়ক ডুবে গেছে। কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নগরীর রূপাতলী হাউজিংয়ের বাসিন্দা মো. বাপ্পি বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই হাউজিং এলাকার সড়ক চলে যায় পানির নিচে। এ অবস্থা দীর্ঘদিনের। টানা বৃষ্টি হলে কি অবস্থা হতে পারে চিন্তা করতে পারবেন না। ভোররাত থেকে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় সড়কে হাঁটুপানি। জরুরি কাজ সারতে নৌকা আনা হয়েছে। ৪-৫টি নৌকায় মানুষ জরুরি কাজ সারতে বের হয়েছেন। আবার ওই নৌকায় ফিরে আসেন। যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই। বিষয়টি বিভিন্ন সময় হাউজিংয়ের বাসিন্দারা সিটি করপোরেশনকে জানালেও আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এ কারণে এখন আর কেউ পানি জমলেও কারও কাছে অভিযোগ জানান না। এই দুর্ভোগ আমাদের সহ্য হয়ে গেছে।
হাঁটুপানি উঠেছে নগরীর বটতলা এলাকার নবগ্রাম রোডে। শাখা সড়ক অক্সফোর্ড মিশন রোডও পানির নিচে। সেখানকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টি হলে পানি ওঠে। আবার অতিরিক্ত জোয়ারের সময়ও সড়ক চলে যায় পানির নিচে। বিভিন্ন সময় সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরতরা বিষয়টি দেখে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে গেছেন। কিন্তু তা আর সমাধান হয়নি। এ কারণে বৃষ্টি হলে আমরাও প্রস্তুত থাকি দুর্ভোগের জন্য।
এভাবে নগরীর বেশিরভাগ এলাকার সড়ক রয়েছে পানির নিচে। শিক্ষার্থী ও কর্মব্যস্ত মানুষ পড়ে চরম বিপাকে। সংকট দেখা দিয়েছে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন যানবাহনের। যানবাহন সংকটের কারণে বেড়েছে রিকশা এবং থ্রি হুইলার ভাড়া।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল বজ্রমেঘমালার কারণে বায়ুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল আবহাওয়া অফিস ৬৪.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে তারা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেশের তিন সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত এবং নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।