মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে দেশটির জনগণকে অনাহারের দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এই বছরের শুরুতে ক্ষমতা দখলের পর বারবার দমন অভিযানের ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
মিয়ানমারের জন্য বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ জানায়, জান্তা সরকার খাবারের সরবরাহ ধ্বংস এবং গৃহপালিত পশু হত্যা করেছে। একই সঙ্গে তারা ওষুধ ও খাবার পরিবহনের সড়ক বিচ্ছিন্ন করেছে।
পরিষদ আরও জানায়, উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর অভিযানের কারণে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারেননি।
বিশেষজ্ঞদের এই পরিষদে রয়েছেন জাতিসংঘের হয়ে মিয়ানমারে কাজ করা বেশ কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা। পরিষদের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, গণতন্ত্রপন্থী জাতীয় ঐক্য সরকারের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাজ করা উচিত।
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের সাবেক সদস্য ক্রিস সিডোতি বলেন, কী করা উচিত তা ভাবতে হাত না কচলিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জাতীয় ঐক্য সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে পারে এবং অবশ্যই করা উচিত। যাতে সীমান্তের ওপারে যেসব মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন তাদের তা দেওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে বিশ্বস্ত স্থানীয় মানবিক ও চিকিৎসা সেবাদানকারী নেটওয়ার্ক রয়েছে। কমিউনিটি ও সুশীল সমাজভিত্তিক এসব সংগঠন মানুষকে সহযোগিতা করছে। তাদের সহযোগিতা করা উচিত।
পরিষদের পক্ষ থেকে মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের সাবেক দূত ইয়াঙ্গি লি বলেছেন, জান্তার পদক্ষেপের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের প্রত্যাখ্যাত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর প্রায় আড়াই লাখ ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। দেশটির ৩০ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সহযোগিতা প্রয়োজন।