অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিতাসের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তার নাম মহিদুর রহমান। তিনি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের স্টেশন কন্ট্রোল শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা- ১ এ এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর-১৪। দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, মহিদুর রহমানের দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই বা অনুসন্ধানকালে তার নামে ঢাকার খিলগাঁও মৌজায় টিনসেড স্থাপনাসহ আড়াই কাঠা করে দুটি জমি, বাড্ডা থানার কাঠালদিয়া মৌজায় ০.৮০ কাঠা জমি, টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার বাগকাটারী মৌজায় ৮৯ শতাংশ জমিসহ মোট ২৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫৯ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ এবং আসবাবপত্র, হাতে নগদ ও ব্যাংকে জমা বাবদ সর্বমোট ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ বিয়ের উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ৫০ ভরি স্বর্ণালংকারের তথ্য পাওয়া গেছে। অর্থাৎ তার নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য এক কোটি ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬২৮ টাকা। অপরদিকে তার ঋণ বা দায় রয়েছে ২২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮৩ টাকা। অর্থাৎ তার নামে অর্জিত নিট সম্পদের মূল্য ৮২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪৫ টাকা।
দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানকালে মহিদুর রহমানের চাকরির বেতন-ভাতা, তিতাস গ্যাস কোম্পানি হতে প্রাপ্ত লভ্যাংশ ও শিক্ষাভাতা এবং গৃহ-সম্পত্তির আয় বাবদ সর্বমোট ১ কোটি ৩৩ লাখ ১২ হাজার ৩২৬ টাকা আয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনি স্ত্রীকে দান করেছেন ৫৮ লাখ টাকা ও পারিবারিক ব্যয় করেছেন ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮১ টাকা। তার মোট ব্যয় ৮৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮১ টাকা। অর্থাৎ স্ত্রীকে দান ও পারিবারিক ব্যয় বাদে তার নিট সঞ্চয় থাকার কথা ৪৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৫ টাকা। কিন্তু তার নামে অতিরিক্ত ৩৪ লাখ ৭১ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে তার আয়ের উৎসের স্বপক্ষে কোনও রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি। এসব সম্পদ তার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত। এজন্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।