বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তার সুচিকিৎসা যে দেশে হয় সেখানেই পাঠাতে হবে। আর যদি খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও ঘটনা ঘটে তাহলে একমুহূর্তও এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে খুলনা নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয় চত্বরে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে পাঠানোর দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মন্ত্রীরা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর প্রতিবন্ধকতার ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছেন। এর আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আ স ম আব্দুর রবকে রাষ্ট্রের ৩৬ লাখ টাকা খরচ করে জার্মানিতে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া সম্পর্কে যেসব মন্ত্রী ঠাট্টা-মশকরা করছেন, ভবিষ্যতে তাদের কী পরিণাম হবে তা আমি বলতে পারি না। যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, রাতের ভোটে নির্বাচিত তাদের কাছে কীসের অনুমতি চাইতে হবে?
বিদেশে চিকিৎসা করাতে হলে আগে রাষ্ট্রপতির কাছে খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে—আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের এই মন্তব্য সম্পর্কে গয়েশ্বর বলেন, ক্ষমা চাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার জন্ম হয়নি। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রে তার অবদান রয়েছে। তিনি শুধু ক্ষমা চাইতে পারেন সৃষ্টিকর্তার কাছে। আর কারও কাছে নয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন প্রমুখ।