অত্যাধুনিক ইন্ট্রা-ন্যাজাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাকে প্রয়োগ করা যায় এমন ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটিশ বায়োমেডিক্যাল ফার্ম-ভিরাকর্প এবং দেশের প্রতিষ্ঠান-ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড। শনিবার ইনসেপ্টার মিডিয়া কনসালট্যান্ট জাহিদ রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ল্যাঙ্কাস্টার ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট এবং ভিরাকর্প-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুনিরের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে। এই ভ্যাকসিন ন্যাজাল স্প্রে-এর মাধ্যমে সহজে প্রয়োগ করা যায় এবং প্রচলিত কোল্ডচেইন পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে ভ্যাকসিনটি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে ভিরাকর্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুনির বলেন, ‘এই ভ্যাকসিন সহজে পরিবহনযোগ্য, নাকের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায় এবং এটি ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির জন্য যে ভারী অবকাঠামো ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় তা কমিয়ে দেবে। বিশ্বের সবচেয়ে প্রত্যন্ত এলাকার অধিবাসীদের কাছেও এই ভ্যাকসিন সহজে পৌঁছানো যাবে।’
ইনসেপটা ভ্যাকসিন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘আমাদের কোম্পানি সবসময় নতুন ভ্যাকসিন উৎপাদনের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তি অর্জন ও উন্নয়নের জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই যৌথ উদ্যোগের ফলে উন্নয়নশীল দেশ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণের জন্য সহজে প্রয়োগযোগ্য ভ্যাকসিন উৎপাদন করা সম্ভব হবে।’
ভিরাকর্প-এর সিইও জন চ্যাডউইক ইনসেপটাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের নেওয়া সাম্প্রতিক উদ্যোগসমূহ নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আমাদের যৌথ উদ্যোগের ফলে সর্বাধিক মানের ভ্যাকসিন স্বল্পমূল্যে সর্বত্র সহজলভ্য করা সম্ভব হবে।’
ড. মুনীর আরও বলেন, ‘ইনসেপটার সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উৎপাদন সম্ভব করবে, যা যেকোনও ধরনের সার্চ কোভ-২ থেকে সুরক্ষা দেবে এবং এর বিস্তার প্রতিরোধ করবে।’
ড. মুনিরের দলের সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ডা. মোহাম্মদ রোহাইম বলেন, ‘ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ব্যাপকভাবে যাচাই করা হয়েছে এবং কয়েক দশক ধরে চলমান পরীক্ষায় এর নিরাপত্তা প্রোফাইল নিশ্চিত হয়েছে।’