পবিত্র রমজান উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে গত ২৯ মে থেকে চলতি মাসের ৮ জুন পর্যন্ত টিসিবি’র ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে নায্যমূল্যে ছোলা, ডাল, সোয়াবিন ও চিনি বিক্রয় করা হয়েছিল।
আরও পড়তে পারেন: লিবিয়ায় আগুনে পুড়ে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
অপেক্ষমান গ্রাহকরা উৎসাহ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে উল্লেখিত পণ্য সংগ্রহ করতেন। কিন্তু গত ৮ জুন থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রয় বন্ধ রয়েছে।
মৌলভীবাজার শেরপুরে টিসিবির আঞ্চলিক গুদাম কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জেলা সদরে রমজান আসার আগে থেকে আমাদের টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মৌলভীবাজারে টিসিবি’র দুইজন ডিলার রয়েছেন। তার মধ্যে খালেক এন্টারপ্রাইজের মো. খালেক মিয়া ও শেরপুরের তাজ এন্টারপ্রাইজের মো. মোস্তফা মিয়া ৯দিনে ১৮ ট্রাক মাল বিক্রি করেছেন। টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন,পণ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে ওপর মহলের নির্দেশে।হেড অফিস যদি বন্ধ করে দেয় তাহলে আমার কি করার আছে।এখন শুধু বিভাগীয় শহরে টিসিবির পণ্য বিক্রি চলছে ।
মৌলভীবাজার টিসিবির ডিলালদের সঙ্গে টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
মৌলভীবাজার চেম্বার সভাপতি মো. কামাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,টিসিবির পণ্য শহরে বিক্রি হয়েছে বা এখন বন্ধ রয়েছে এ বিষয়ে তার জানা নেই। তিনি বলেন,খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো ।
মৌলভীবাজার জেলা প্রসাশক মো.কামরুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কিছুদিন পণ্য বিক্রি হয়েছিল।বর্তমানে বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। তবে কী কারণে টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ সে বিষয়ে খোলাশা করেননি জেলা প্রসাশকও।
প্রসঙ্গত: ২৯ মে সোমবার থেকে ৮ জুন পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন সড়কে টিসিবির পণ্য বিক্রি হয় ন্যায্যমূল্যে।
ট্রাকের মাধ্যমে টিসিবির এ প্রকল্পের আওতায় সিলেট বিভাগের ছয় জন ডিলারের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেওয়া শুরু হয়। ডিলারদের মধ্যে মৌলভীবাজারে ২ জন, হবিগঞ্জে ২ জন, ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ২ জন। ট্রাকে করে বিক্রিত মালামালের মধ্যে ছোলা (অষ্ট্রেলিয়া) প্রতি কেজি ৭০ টাকা, মসুর ডাল (কানাডা) প্রতি কেজি ৮৯.৯৫ টাকা, চিনি প্রতি কেজি ৪৮ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন তৈল ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। পণ্য রমজানের শেষ পর্যন্ত বিক্রির কথা ছিল।
আরও পড়তে পারেন: উত্তরায় খাল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
/এমএসএম/