মুন্সীগঞ্জে ওষুধ শিল্প পার্ক চালু শিগগিরই: সালমান এফ রহমান

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় শিগগিরই ওষুধ শিল্প পার্ক (এপিআই পার্ক) চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ‘এর ফলে ভবিষ্যতে ওষুধ শিল্পে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে এবং এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ওষুধ শিল্প দ্রুত এগিয়ে যাবে।’

বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘এলডিসি উত্তরণে ওষুধ শিল্পের প্রস্তুতি’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান তিনি।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশীয় ওষুধ শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এটি মোকাবিলায় আমাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে স্থানীয় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্যাটেন্ট আইন সংশোধন করতে হবে।’

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প-এসএসজিপি ও বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট-বিল্ড যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিল্ডের চেয়ারপারসন নিহাদ কবির, ঢাকা চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রাহমান, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এসএসজিপির প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আজিজ।

সেমিনারে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা জানান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্যাটেন্ট আইন সংশোধন করা হবে।

এ ছাড়া দেশের ওষুধ শিল্পে পোশাক খাতের মতো প্রণোদনা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রাহমান।

সেমিনারে সালমান এফ রহমান ট্রিপস চুক্তির আওতায় স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রাপ্ত বিশেষ সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় প্রয়োজনীয় প্রচার চালানোর আহ্বান জানান।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এলডিসি-পরবর্তী সময়ের জন্য ওষুধ শিল্পকে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি খাত এবং শিল্প খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন।

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরও ২০৩৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রিপস চুক্তির আওতায় প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধাগুলো যাতে অব্যাহত রাখা যায়, সে ব্যাপারে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে।’