বিজিএমইএ নির্বাচন: সংকটে সুদক্ষ নেতৃত্বের আহ্বান সম্মিলিত পরিষদের

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, জ্বালানি সংকট, ডলারের দোলাচল ও এলডিসি পরবর্তী বাণিজ্য বাস্তবতায় চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশে প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প। এমন এক সংকটময় প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের বিজিএমইএ নির্বাচনে যোগ দিতে প্রস্তুত সম্মিলিত পরিষদ। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে পরিষদের নেতারা তাদের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, প্যানেল লিডার ও চৈতী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফারুক হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাজিরুল শোভন ইসলাম।

বক্তারা জানান, সম্মিলিত পরিষদ কেবল নির্বাচনের সময় নয়, বরং গত দুই দশক ধরেই বিজিএমইএ’র সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছে। তারা বলেন, আমরা শুধু ইশতেহার দিই না, দায়িত্বশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করি।

আগামী পরিকল্পনার হাইলাইটস

প্যানেল লিডার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, ২১ মে প্রকাশ করা হবে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনি ইশতেহার। এতে গুরুত্ব পাবে:

বিজিএমইএ’র পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রূপান্তর, সদস্যদের জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস, নবীন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা, এসএমই কারখানার টেকসই উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির (বিশেষ করে সোলার) প্রসার, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিং জোরদারকরণ।

তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও সেবামুখী বিজিএমইএ গঠনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নবীন উদ্যোক্তা ও এসএমই কারখানার উন্নয়ন আমাদের অগ্রাধিকার।

দায়িত্বশীল নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি

সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, এই সংগঠন শুধু একটি অ্যাসোসিয়েশন নয়, দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। তাই এর নেতৃত্বে দরকার পরীক্ষিত, কার্যকর ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিত্ব।

তিনি আরও বলেন, সংকটকালীন সময়ে সম্মিলিত পরিষদ বারবার সামনে থেকেছে। আমরা কাজ দিয়ে নেতৃত্ব দিই, কথায় নয়।

আলোচনায় ঐক্য ও ভবিষ্যতের বার্তা

প্রশ্নোত্তর পর্বে পরিষদ নেতারা জানান, তারা কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। তরুণ ভোটার ও নবীন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ভবিষ্যতের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে চায় এই পরিষদ। তাদের মতে, বিজিএমইএ কেবল একটি ভোটের জায়গা নয়, বরং এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে দূরদর্শী নেতৃত্বই পারে খাতটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে।

সমাপনী বক্তব্যে মুস্তাজিরুল শোভন ইসলাম বলেন, এই নির্বাচন শুধু নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার সময় নয়, বরং বিজিএমইএ-কে নতুন যুগে প্রবেশ করানোর দিকনির্দেশক মুহূর্ত।

পরিশেষে, সম্মিলিত পরিষদের পক্ষ থেকে সব সদস্যকে নির্বাচনমুখী হতে এবং একটি আধুনিক, শক্তিশালী বিজিএমইএ গঠনে মতামত জানানোর আহ্বান জানানো হয়।