বিদ্যুৎ উৎপাদনে দিনে কতটুকু গ্যাস পাওয়া যাবে?

এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে দৈনিক ১২৯০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পেট্রোবাংলা। গ্রীষ্ম এবং সেচের বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে এই ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।

পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, সরকারের নির্দেশে সম্প্রতি গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য বিদেশ থেকে বেশি পরিমাণ এলএনজি আমদানি করা হবে।

পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে জানান, এপ্রিল থেকে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দৈনিক গ্যাসের সরবরাহ বাড়িয়ে ৩ হাজার ১৫১ মিলিয়ন ঘনফুট করা হবে। বিদ্যুৎ, শিল্প এবং সব ধরনের কারখানায় যাতে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়, এ জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে যে পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যায়, অনগ্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট, অফগ্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্রে দৈনিক ৯০ মিলিয়ন ঘনফুট, অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট বিদ্যুতে ১ হাজার ২৯০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

চলতি বছর সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদা হতে পারে। এজন্য পিডিবির তরফ থেকে ১ হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের কথা বলা হয়। তবে পেট্রোবাংলা ১২৯০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে।

এর আগে ২০২৩-এর গ্রীষ্মে কোনও কোনও দিন সর্বোচ্চ ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে বিদ্যুৎ। তবে গড়ে এই সরবরাহ ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের মধ্যেই ছিল।

এর বাইরে সার কারখানায় দৈনিক ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ বা নিজস্ব উৎপাদনে কারখানা চালানোর জন্য দৈনিক ৬৩৮ মিলিয়ন ঘনফুট, শিল্পে ৬৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। অর্থাৎ শিল্পে সব মিলিয়ে ১ হাজার ৩৩০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হবে।

আবাসিকে ২৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট, সিএনজিতে ১১০ মিলিয়ন ঘনফুট, বাণিজ্যিকে ১৫ এবং চা বাগানে ১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন বলেন, চলতি বছর গ্রীষ্মের চাহিদা সামাল দেওয়ার জন্য এলএনজি আমদানির বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কোন কোন কোম্পানির কাছ থেকে এলএনজি আনা হবে, কার্গোগুলো কবে আসবে, তাও ঠিক করা হয়েছে। সংগত কারণে এবার বিদ্যুতের জন্য গ্যাসের কোনও সমস্যা হবে না বলে আমরা আশা করছি।