আজ বিশ্ব এইডস দিবস

এইডস আক্রান্তের ঝুঁকিতে যক্ষা রোগীরা

এইডসযক্ষা রোগীরা এইচআইভি/এইডস আক্রান্তের ঝুঁকিতে পড়েছেন। খুলনায় ইতোমধ্যেই ৩ জন যক্ষা রোগীর রক্তে এইচআইভি/এইড জীবাণু পাওয়া গেছে। সচেতনতার অভাবে খুলনা অঞ্চলে এইচআইভি/এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছর খুলনায় এইডস আক্রান্ত হয়েছে ৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও মহিলা ২১ জন (ছেলে ও মেয়ে শিশু আছে ১০ জন)।

আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে মহানগরীতে ১০ জন এবং ৯ উপজেলায় ১০ জন (পুরুষ, মহিলা ও শিশু)।

মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ শাখা এইচটিসি কাউন্সিলর ও কাম এডমিনিস্টর আবু মো. আলী জাভেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বর্তমানে যক্ষা আক্রান্ত রোগীর শরীরে এইচআইভি/এইডস জীবাণু পাওয়া যাচ্ছে। যক্ষার জীবাণু ও এইচআইভি/এইডস জীবাণুর চরিত্র প্রায় একই। এ কারণে যক্ষা আক্রান্তদের নিয়মিত চিকিৎসার পাশাপাশি এইচআইভি/এইডস জীবাণু সম্পর্কে জানার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার এ শাখা থেকে ২০১৫ থেকে চলতি বছরের ভেম্বর পর্যন্ত ৩৭৫ জনকে এইচআইভি/এইডস টেস্ট করানোর পর ৩৭ জন শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ১৪ জন মহিলা, মেয়ে শিশু ২, পুরুষ ১৭ ও ছেলে শিশু ৪ জন রয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৫ জন। তারা নড়াইল, সাতক্ষীরা ও যশোর এলাকার বাসিন্দা।’

মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ কো-অর্ডিনেটর রেহানা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চলতি বছর ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে পুরুষ ৪ জন ও মহিলা ২ জন। খুলনায় মোট এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ জন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এইচআইভি/এইডস আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ নভেম্বর শার্শা উপজেলার বাসিন্দা এক মহিলা মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ভারতে বসাবস করছিলেন। বাংলাদেশ আসার পর তার শরীরে এইডস ধরা পরে।’

খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘খুলনায় নতুন এইচআইভি/এইডস আক্রান্তর সংখ্যা ৫১ জন। ২০১৫ সালে আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ২৫ জন।’ 

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এক জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের ৫১ লাখ ব্যক্তি এইচআইভি জীবাণু বহন করছে। ভারত থেকে প্রতিদিন এক হাজার ট্রাক বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করে। এই ট্রাক ড্রাইভারদের একটা অংশ এইচআইভি জীবাণু বহন করে।

/এসএনএইচ/