সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে

 

মৌলভীবাজারমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। রবিবার সকালে শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভাব হারুন অর রশীদ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলা ট্রিবিউনকে এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন,‘গত বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং শনিবার ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে শ্রীমঙ্গলসহ মৌলভীবাজার জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। সূর্যের আলো ফুটলেও তাতে তাপ নেই। আগামী দু-একদিন এরকম ঠাণ্ডা থাকতে পারে।

চা বাগান ও হাওর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সব সময় হু হু করে বাতাস বইছে। তীব্র শীতে কাঁপছে পাহাড়ী এলাকার চা শ্রমিক ও হাওরপারের মানুষ। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রোগের প্রকোপ। দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের। তীব্র শীতে মানুষকে আগুন জ্বালিয়ে সড়কের পাশে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে। গরম কাপড় মুড়ি দিয়ে লোকজন দিনের শুরুতে বাইরে আসছেন।

তবে শীতে ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি আরও চরমে। প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে তারা অতি কষ্টে দিনযাপন করছেন।

ভাড়াউড়া চা বাড়ানের চা শ্রমিক সমিরণ কাহার ও সুনিল বাড়াইক বলেন, ‘তীব্র শীতে গরম কাপড় না থাকায় কষ্ট হয়। কখনও আগুন জ্বালিয়ে আবার কখনও ঘরের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থেকে শীত নিরারণের  চেষ্টা করছি।’

মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন সত্যকাম চক্রবর্তী ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মিনাক্ষী দেবনাথ বাংলা ট্রিবিউনকে রবিবার সকাল ১০টার দিকে বলেন, ‘মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল হাসপাতাল ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অসংখ্য শিশু ও বৃদ্ধ শীতজনিত রোগে ভর্তি করেছেন। তার মধ্যে শিশুদের মধ্যে ডায়েরিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের সংখ্যাই বেশি। সেবা দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে নবজাতকদের।’

/এসএনএইচ/